১১ হাজার ৪৯৭.৫০ মেট্রিক টন চিনি বস্তাবন্ধি সেতাবগঞ্জ চিনিকলে

দিনাজপুর জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকল গত ৩ মৌসুমের উৎপাদিত ১১ হাজার ৪৯৭.৫০ মেট্রিক টন চিনি বিক্রয় করতে না পারায় আখ চাষীদের বকেয়া দিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। আখচাষীরা প্রতিনিয়ত টাকার জন্য মিল কর্তৃপক্ষের নিকট ধর্ণা দিলেও তাদের সান্তা দিয়ে খালি হাতে ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে এই চিনিকলটি চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। সেতাবগঞ্জ চিনিমিল কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ২০১৩-২০১৪ মাড়াই মৌসুমে আখচাষীদের বকেয়া প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। সময় মতো চাষীদের বয়েকা পরিশোধ করতে না পারায় প্রায় চাষীদের তোপের মুখে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পড়তে হয়। চাষীদের কাছে অনেক সময় অপমান-অপদস্ত হতে হয়েছে।

এব্যাপারে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, বেসরকারি চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো কম মূল্যে বাজারে সরবরাহ করায় আমাদের চিনি বিক্রি হচ্ছেনা। বর্তমানে সেতাবগঞ্জ চিনিকলে ২০১১-১২ মৌসুমের ২ হাজার ৫১১.৮৫ মেট্রিক টন এবং ২০১২-১৩ মৌসুমে ৪ হাজার ৮৬.৯৫ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪৬ কোটি টাকা। এই বিশাল অংকের চিনি বিক্রিয় না হওয়ায় চিনিকলটি চরম অর্থ সংকটে পড়েছে।

তিনি আরো জানান, এই অর্থ সংকটের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বার বার জানালে তাদের কাছ থেকে কোন সারা পাওয়া যায়নি। অন্যেিদক আখচাষী সমিতির সাধারন সম্পাদক আলী মর্তূজা জানান, মিল কর্তৃপক্ষ আখচাষীদের টাকা পরিশোধ না করায় চাষীরা খেয়ে নাখেয়ে দিনাতিপাত করছে। এতে চাষীরা ক্ষেতের মুড়ি আখ উপরে ফেলে ১৫ টাকা মণ দরে বিক্রি করছে।

বোচাগঞ্জ উপজেলার আখ চাষী আব্দুল মালেক জানান, আগামীতে চিনিকলটিকে বাচাঁতে চাইলে মজুদকৃত চিনি বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। তা না হলে আগামী মৌসুমে আখের অভাবে উক্ত মিলটি বন্ধ থাকার সম্ভবনা রয়েছে।

শুধু আখচাষীরা তা নয় মিলে কর্মরত প্রায় ১২শ জন শ্রমিক-কর্মচারীরা গত কয়েক মাসের বকেয়া বেতন না পাওয়ার ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে।



মন্তব্য চালু নেই