১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর বসুন্ধরার আগুন নিয়ন্ত্রণে

ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের আগুন প্রায় ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান। একইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর অজিত কুমার ভৌমিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রাত পৌনে ৯টার দিকে বসুন্ধরা সিটির আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘গঠিত কমিটি আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্তে কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্যে আগামী বুধবার পর্যন্ত মার্কেটটি বন্ধ রাখা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখন নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা দেখি ধারণা করছি মার্কেটের সি ব্লকের ১০০টি দোকানের প্রত্যেকটির প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

রোববার সোয়া ১১টার দিকে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ৬ তলার সি ব্লকের একটি জুতার দোকানে আগুন লাগে। এরপর মুহূর্তেই তা মার্কেটের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে কাজ করে।

এরআগে দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আগুন নেভাতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

আগুন লাগার কারণে বসুন্ধরা সিটির ছাদে ১১ জন আটকা ছিলেন। তারা সবাই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের কর্মচারী। এর মধ্যে তিনজন নারী ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটের সব লিফট ও চলন্ত সিড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। উৎসুক জনতার কয়েকজন মেয়রের কাছে জানতে চান বারবার কেন ওই শপিং মলে আগুন লাগে। মেয়র জবাবে বলেন, ‘আমিও জানতে চাই, বার বার কেন তাদের আগুন লাগে। এই পর্যন্ত তিন বার এই মার্কেটে আগুন লেগেছে।’

ঢাকার অন্যতম বৃহৎ এই শপিং কমপ্লেক্সে লাগোয়া দুটি ভবন রয়েছে। এর পান্থপথ সড়কমুখী আট তলা ভবন এবং পেছনের ১৯ তলা ভবন। পেছনের এ ভবনের উপরের দিকে ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ভয়াবহ আগুনে সাত জনের মৃত্যু হয়, আহত হন শতাধিক।

এরপর ওই বছরেরই আগস্টে ও ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগে।



মন্তব্য চালু নেই