হোশি কুনিও হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ৫ জনকে অব্যাহতি
রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা রাশেদ উন নবী বিপ্লবসহ গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়ে আট জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত।
রোববার রংপুরের কাউনিয়া আমলি আদালতের বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অভিযোগপত্রভুক্ত আট জেএমবি সদস্যের মধ্যে পলাতক চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী আজ দুপুরে অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামে দুর্বৃত্তরা গুলি করে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যা করে।
প্রায় নয় মাস তদন্ত শেষে নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবির ওই আট সদস্য হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে আটক রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদুন্নবী খান বিপ্লব, হোশি কুনিওর সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরাসহ পাঁচজন জড়িত নয় এবং তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করলে আদালত আজ তা মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে আটক জেএমবি সদস্য মাসুদ রানা, ইসহাক আলী, আবু সাইদ ও লিটন মিয়া এবং পলাতক জেএমবি সদস্য নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন আনসারী ও আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে হোশি কুনিও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১০ জুলাই আদালতে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র আজ আদালত আমলে নেন।
এক বছরের ভিসা নিয়ে নিহত জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও রংপুরে এসেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি রংপুরের মাহীগঞ্জের আলুটারী এলাকায় একটি কৃষি প্রকল্প পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে নগরীর মুন্সীপাড়ার ৩১ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে রিকশায় করে মাহীগঞ্জ যাওয়ার সময় আলুটারীতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে। এ সময় তাঁর বুকে, পাঁজরে ও হাতে তিনটি গুলি লাগে। দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য চালু নেই