হৃদয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা ২৬ মার্চ আজ
ইতিহাসের পথপরিক্রমায় আমরা লাভ করেছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন। আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির হৃদয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা একটি দিন।
বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনার কাল। প্রতিবছর মহান স্বাধীনতা দিবস জাতির জীবনে প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার নতুন বার্তা নিয়ে আসে। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস।
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে, ভয় নাই। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই… সত্যিই সেদিনের উদয় লগ্নই ছিল ২৬ মার্চ। পাকিস্তানী শাসকগোষ্টির নাগপাশ ছিড়ে নিজেদের স্বাধীনতা আদায়ের চুড়ান্ত শুভলগ্ন।
২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া হত্যাযজ্ঞের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। এই দিনেই প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। স্বাধীন বাংলার অবরুদ্ধ রাজধানী ঢাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা দিনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলিত হয়।
দিকে দিকে বাংলার স্বাধীনতাগামী মানুষ যোগ দিতে থাকে স্বাধীন দেশ গঠনের লড়াইয়ে। এরপর চুড়ান্ত যুদ্ধ। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, তারপর সেই এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাংলার স্বাধীনতা, হাজার বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করে স্বাধীনতার স্বাদ। নতুন পরিচয়, নতুন পতাকা, নতুন দেশ, বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করবে জাতি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই