হিরো হতে গিয়ে ভিলেন হলেন জুনায়েদ : রিমান্ড চাইবে পুলিশ

ফেসবুকে সম্প্রতি বহুল আলোচিত যুবক জুনায়েদকে গ্রেফতার করতে না পারলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করবে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জুনায়েদ ও নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে সহায়তাকারী যুবকসহ সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবকদের কাছ থেকে ঘটনার নেপথ্যে কারণ খুঁজে বের করতে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিকল্প নেই।

আগামী দুই একদিনের মধ্যেই জুনায়েদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে আবেদন দাখিল করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধানমন্ডি থানা পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ সব তথ্য জানান।

উঠতি বয়সের বখাটে যুবক জুনায়েদ আল ইমদাদ। রাজধানীর ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের ছাত্র নুরুল্লাহর ওপর উপর্যুপরি নির্যাতন চালিয়ে সেই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে হিরো হতে চেয়েছিল। কিন্তু নির্যাতনের ভিডিওচিত্র তার জন্য বুমেরাং হয়।

এ ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠলে হিরো নয় ভিলেনে পরিণত হয় সে। তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে নামে। গ্রেফতার এড়িয়ে রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।

এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্যাতনের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মোটিভ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। আপাতদৃষ্টিতে ভিডিও পর্যালোচনায় একজন নারীকে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে মনে হলেও নেপথ্যে তরুণ যুবকদের সামাজিক অবক্ষয়ে পতিত হওয়ার আরও অনেক চাঞ্চণ্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

কেন এমনটা অনুমান করছেন জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা বলেন, গত সাতদিন যাবত জুনায়েদকে গ্রেফতারে একাধিকবার অভিযান চালালেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বাদি নুরুল্লাহর আচরণও ছিল সন্দেহজনক। মামলা দায়েরের পরও জুনায়েদেও সঙ্গে নুরুল্লাহর একাধিকবার যোগাযোগ হয়েছে এ তথ্য পুলিশকে জানায়নি সে। মামলার এজাহারে জুনায়েদের বাসার ঠিকানা ভুল দেয়া ইচ্ছাকৃত কি না তাও দেখছে পুলিশ।

জুনায়েদকে নিয়ে নানা কথাবার্তা হলেও তার সহযোগী কয়জন ছিল, ভিডিও ধারণ কে করলো, কি কারণে করলো এগুলো এখনও জানা যায়নি। জুনায়েদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব জানা যাবে বলে তিনি মনে করছেন।

রিমান্ডে আনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো.সেলিম হোসেন বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে জুনায়েদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। তবে এর বেশি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।



মন্তব্য চালু নেই