হিকমতে জ্বলবে বৈদ্যুতিক বাতি

এ কোনো মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তির কেরামতি বা হিকমত নয় যে, জ্বালানি ছাড়াই অলৌকিকভাবে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলবে। এটা দিনাজপুরের শাহিদের হিকমত। দীর্ঘ ১২ বছর সাধনার পর তিনি অর্জন করেছেন এক আশ্চর্য কেরামতি। তেল, গ্যাস, কয়লা বা সৌরশক্তি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন তরুণ বিজ্ঞানী শাহিদ। আবিস্কৃত যন্ত্রের নাম দিয়েছেন- হেভি সার্কুলার মুভিং অবজেক্টস ট্রিগিয়ারিং এনার্জি (হেকমত)।

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এম শমসের আলীর উপস্থিতিতে নতুন এ প্রযুক্তির ডেমো প্রদর্শন করা হয়। এ উপলকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আল্ট্রাম্যাক্স পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড।

সংবাদ সম্মেলনে উদ্ভাবক শাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে একাধিক প্রস্তাব পেয়েছি। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের এক কোম্পানি কয়েক মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। ২০০৮ সালে কানাডার এক কোম্পানি ১৫০ কোটি টাকায় এ প্রযুক্তি কিনতে চেয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আমার প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হোক। তাই, আমি টাকার কাছে প্রযুক্তি হস্তান্তর করিনি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এম শমসের আলী বলেন, ‘এটি যুগান্তকারী আবিস্কার। তেল, গ্যাস, কয়লা, সৌরশক্তি ছাড়া আমাদের মতো এনার্জি হাঙ্গার দেশের জন্য এ এক অনন্য উদ্ভাবন। দেশ উন্নয়নে আমাদের অনেক জ্বালানি প্রয়োজন। এ জন্য জ্বালানির সব খাত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশবাসী উপকৃত হলেই তা হবে বড় কাজ।তবে এ উদ্ভাবনের সুফল পেতে দেশের ধনিক শ্রেণি ও সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’

উল্লেখ্য, নতুন এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩০ বছরের জীবনী শক্তির পাঁচ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্ল্যান্ট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ও ১০ মেগাওয়াটের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৫ পয়সা। তবে বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ৮০ কিলোওয়াটের প্ল্যান্টে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হচ্ছে ২০ পয়সা



মন্তব্য চালু নেই