হাড়ের সমস্যা থেকে বাঁচতে যে বিষয় এড়িয়ে চলবেন

অস্টেওপরোসিসের মতো হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চান? সে ক্ষেত্রে খাদ্য গ্রহণে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে হাড়ের মূল উপাদান ক্যালসিয়াম গ্রহণের কাজটি নিশ্চিত করতে হবে। এটি এমন এক খনিজ যা দেহ সহজে গ্রহণ করতে পারে না। যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম খাচ্ছেন তার ২০ শতাংশ কোনোরকমে দেহের কাজে লাগে। বাকিটা মূত্র, মল এবং ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।

কম বয়সে দেহ বেশি বেশি ক্যালসিয়ার গ্রহণ করতে পারে। শিশুকালে যদি প্রচুর পরিমাণে দুধ খেয়ে থাকেন, তবে ধরে নেওয়া যায় যে আপনার হাড় দ্রুত বাড়বে। এ যুগে শিশুরা দুধ না খেয়ে প্রচুর জাঙ্ক ফুড খেয়ে থাকে। এতে করে ছোটকালেই তাদের হাড়ের ঘনত্ব সুষ্ঠু হয় না। তাই এদের অস্টেওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বড় হওয়ার পর তাদের সামান্য আঘাতে হাড়ে ফ্র্যাকচার, হাড়ে ব্যথা, ইনসমনিয়া এবং উচ্চরক্তচাপ দেখা দেয়।

২৫ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এ সময় পর্যন্ত ক্রমশ শক্ত হয় তা। ২৫-৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হাড়ের গঠন একই রকম থাকে। তবে ৩৫ বছর পেরোলে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। তাই এ সময়ে সুষ্ঠুভাবে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ, সি এবং ডি গ্রহণ করতে হবে।

কিছু সাধারণ খাবার আছে যা দেহকে ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাধা দেয়। যতই ক্যালসিয়াম খান না কেন, এসব খাদ্য গ্রহণে ক্যালসিয়াম দেহের কোনো কাজে লাগবে না। তাই এগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। দেখে নিন সেই খাবারের তালিকা।

১. হালকা পানীয় : ক্যালসিয়াম সঠিকভাবে কাজে লাগাতে দেহের ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন হয়। তবে এই খনিজ অতিরিক্ত গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হবে। তাই যদি বেশি বেশি সফট ড্রিংকস, বার্গার, চকোলেট ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে দেহে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যাবে।

২. প্রাণীজ আমিষ : অতিরিক্ত মাংস খেলে এর প্রোটিনের কারণে ক্যালসিয়াম মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। মাছ, ডিম এবং মুরগির মাংস সপ্তাহে দুই বা তিন দিন খাওয়া উচিত।

৩. ক্যাফেইন : চা, কোকোয়া, চকোলেট, কফি এবং ব্যথানাশন ওষুধে ক্যাফেইন রয়েছে। দেহ থেকে ক্যালসিয়াম যে প্রক্রিয়া বেরিয়ে যায়, তাকে গতি দান করে ক্যাফেইন। তাই এগুলো খাওয়া কমিয়ে দিন।

৪. তামাক : ধূমপান বা তামাক খাওয়ার কারণে দেহ ত্যাগ করে ক্যালসিয়াম।

৫. ওষুধপত্র : অ্যান্টাসিড, কর্টিকস্টেরোইডস, রক্ত পাতলা করার জন্যে ব্যবহৃত অ্যান্টিকোয়াগুলান্ট এবং থায়রয়েডে সমস্যার কারণে ব্যবহৃত ওষুধ দেহকে ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাধা প্রদান করে।

৬. ঘাম ঝরানো জীবনযাপন : হাঁটা, দৌড়ানো এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে খুব বেশি ঘাম ঝরালে ক্যালসিয়াম বেরিয়া যাবে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস



মন্তব্য চালু নেই