হাসিনা-মোদি ভিডিও কনফারেন্স আজ

আজ বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি উদ্বোধন করা হচ্ছে। উভয় দেশ ইতোমধ্যে আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেছে। একই দিনে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিরও উদ্বোধন হবে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হবে।

শেখ হাসিনা ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের জন্য বাটন ক্লিক করবেন এবং মোদি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের বাটন ক্লিক করবেন।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বাণিজ্যিক সংযোগ সম্পন্ন করেছি এবং উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যান্ডউইথ ট্রান্সমিশন উদ্বোধন করবেন।

প্রাথমিকভাবে ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার জন্য ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে, ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইথ রপ্তানি বাড়তে পারে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম,সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

দেশের ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসসিসিএল গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক ট্রান্সমিশন শুরু করে এবং সকল কারিগরি ত্রুটি ঠিক করে নেয়। ১৬ নভেম্বর বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইবার আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিএসসিসিএল ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভারত সঞ্জার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে।

চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বিএসএনএল ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করবে, তবে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিশেষ করে ভারতীয় পক্ষের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। ভারতে এই ব্যান্ডউইথ রফতানি থেকে বাংলাদেশ বছরে ৯.৬ কোটি টাকা আয় করবে।

অপরদিকে ভারতীয় রাজ্য আসাম ও মেঘালয় বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নিতে আগ্রহী।

দেশের সাবমেরিন ক্যাবলের ২০০ জিবিপিএসর বেশি ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা রয়েছে, যা থেকে দেশের চাহিদা পূরণ করে ৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ মোট ব্যান্ডউইথের মাত্র ৩৩ শতাংশ ব্যবহার করছে। দেশে ব্যান্ডউইথের চাহিদা ২০২১ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ২১০ জিবিপিএস।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০১৬ সাল নাগাদ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয়ে আরও ১৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাবে।



মন্তব্য চালু নেই