‘হাসিনা-মোদির নেতৃত্বে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো, বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিও অঙ্গীকারবদ্ধ।’
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ (এমএকেএআইএএস) এর যৌথ উদ্যোগে এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এবং ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিউ মিনথ থান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউটের পরিচালক রাধা দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের পর মিয়ানামারই হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় নিকটতম প্রতিবেশী দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন মিয়ানমারের সঙ্গে শিথিল সম্পর্কের বরফ গলাতে কাজ শুরু করেন। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা, আমদানি-রপ্তানি, বাণিজ্যবৈষম্য দূরীকরণ, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির আদান-প্রদানে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমারে বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ ও আমদানি, সে দেশে বাংলাদেশের ওষুধ, সিরামিকস, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে নিয়েও আলোচনা চলছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, ‘ভারত সব সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বারোপ করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।’
মন্তব্য চালু নেই