প্রচারণায় ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে : আফরোজা আব্বাস

প্রচারণা চালাতে গেলে নেতা-কর্মীদের ভয়-ভীতি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে, অভিযোগ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেছেন, ‘এভাবে প্রচারণা দমানো যাবে না।’

রোববার দুপুরে চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে যাই, পুলিশ তখনই আমাদের ছেলেদের তুলে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখানো হয়। আওয়ামী লীগের লোকজন এসে লিফলেট কেড়ে নিয়ে যায়। ছেলেরা সামনে আসতে পারে না। সবাই সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে না পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণে মির্জা আব্বাস এবং উত্তরে তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ এর ব্যানারে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী প্রতীক ‘মগ’ আর তাবিথ আউয়ালের প্রতীক ‘বাস’।

জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে এই সমাবেশের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি এবং সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের’ দাবিতে এই চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাসকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আফরোজা বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা সহযোগিতা করছেন, ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতা চাই। আমরা নির্বাচনী কাজ করার সময়ে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। সকলে মিলে এই বাধা কাটিয়ে উঠতে হবে। হয়রানি সত্ত্বেও বুলেটের কাছে মাথা নত করব না।’

প্রচারণায় একশ’ ভাগ সমর্থন পাচ্ছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তারা সবাই বলছে, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বুলেটের ভয়ে সরাসরি নামতে পারছি না। তবে ভোট দেব। এজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বিএনপির নির্বাচন পরিচালনাকারী সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই