হাসিনার জন্য নৈশভোজ তৈরিতে ব্যস্ত ৩২ পাচক

চারদিনের সরকারি সফরে ভারতে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সম্মানে রবিবার সন্ধ্যায় দেশটির রাষ্ট্রপতি আয়োজন করেছেন বিশেষ নৈশভোজের। ভারতে বাঙালি রাষ্ট্রপতি বলে কথা! তাতে আবার বাংলাদেশের জামাইবাবু। বন্ধুরাষ্ট্রের বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে বাঙালিয়ানা থাকবে না, তাই কি হয়!

রবিবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির পারিবারিক রন্ধনশালায় তাই ধোঁয়া তুলছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা ৩২ জন পাকা বাঙ্গালি পাচক। তবে তোড়জোড় চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। ৩২ প্রধান পাচকের সবাই একে অন্যের সঙ্গে আলোচনায় মত্ত নিজের সেরা মেন্যুটি উপহার দিতে।

ষোলোআনা বাঙালিআনা রন্ধনে সিদ্ধহস্ত পশ্চিমবঙ্গের এই ৩২ পাচক আবার শুধু রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অতি আপন অতিথির জন্যই শুধু ধরেন খুন্তি-কড়াই। ৬টি রন্ধনশালাও ব্যবহার করা হয় একান্ত অতিথির জন্য। এবার সেখানে হানা শেখ হাসিনার।

ভোজনরসিক বাঙালি রাষ্ট্রপতির আবার পছন্দের মাছ হলো পদ্মার ইলিশ। আর পাশের দেশের দিদি হাসিনা তার প্রিয় দাদার জন্য নিয়ে গেছেন বাজারবাছাই ৩০ কেজি ইলিশ। অসময়েও পদ্মার টাটকা সেরা ইলিশ ঢুকেছে রাষ্ট্রপতি আবাসে। তবে নৈশভোজে শেখ হাসিনার পাতে পড়ছে না ইলিশ। বাজারে ছোট ইলিশের আধিক্য থাকায় বাদ পড়েছে লোভনীয় এ মেন্যু।

তাতে কী! বাঙালি কি শুধু ইলিশে মজে থাকে! চিতল মাছের মুইঠ্যা, চিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি মাছের পাতুরি তো থাকছেই। পাচকদের উপর কড়া নির্দেশ, খাবার এমন হতে হবে যেন প্রিয় অতিথি ভুলে যান ইলিশের অভাব। এখানেই শেষ নয়, থাকছে আরও নানান পদ। শোনা যাচ্ছে উত্তর ভারতীয় গোশত ইয়াখনি, রাইজিনা কোফতা, মুর্গ দরবারি প্রভৃতি থাকছে হাসিনার পাতে।

প্রণব মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশে এলে তার পছন্দের ইলিশসহ ঢের মেন্যু ছিলো তালিকায়।

এদিকে রবিবার সকালে দিল্লির এয়ার ফোর্স পালাম স্টেশন থেকে আকাশপথে সফরসঙ্গীদের কয়েকজনকে নিয়ে আজমীর গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে শেখ হাসিনার আজমীর থেকে দিল্লি ফেরার কথা রয়েছে। সফরের তৃতীয় দিন সন্ধ্যায়ই তার নিমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতি প্রণবের নৈশভোজে। তবে তার আগেই শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আসবেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ছেলে রাহুল গান্ধীও সোনিয়ার সঙ্গে থাকার কথা রয়েছে।

এই সাক্ষাতের পরেই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। রাষ্ট্রপতি ভবনেই সে সাক্ষাতের জন্য কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে সন্ধ্যা ৭টায়। নৈশভোজের আগেই ভবনের অশোকা হলে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।



মন্তব্য চালু নেই