হানিফ পরিবহন পড়ে থাকা যাত্রীদের চাপা দেয়

কেয়া ও অথৈ পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর হানিফ পরিবহনের একটি বাস রাস্তার উপর পড়ে থাকা যাত্রীদের চাপা দিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায়, এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

এ দুর্ঘটনার জন্য অথৈ, কেয়া ও হানিফ পরিবহনের মালিক, চালক ও হেলপারকে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি হিসেবে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই ঘটনায় প্রকৃত দোষী অথৈ পরিবহন, কেয়া পরিবহন, হানিফ পরিবহনের মালিক, চালক ও হেলপার। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত সোমবার বড়াইগ্রামে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী কেয়া পরিবহনের বাসটির সঙ্গে নাটোর শহর থেকে গুরুদাসপুরমুখি অথৈ পরিবহনের বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বাসের সংঘর্ষের পর আহত যাত্রীরা যখন রাস্তায় পড়ে ছিলেন, তাদের চাপা দিয়েই হানিফ পরিবহনের একটি বাস দ্রুত গতিতে চলে যায়। এতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।

দুর্ঘটনার দিনই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নাটোর জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করে। নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই তাদের প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কেয়া পরিবহনের চালক বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন। সড়কের পরিস্থিতি ও যানবাহনের গতিবিধি না বুঝেই তিনি একটি ট্রাককে ‘ওভারটেক’ করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।

মন্ত্রী জানান, কেয়া পরিবহনের বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুট পারমিট হালনাগাদ ছিল না। আর অথৈ পরিবহনের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ভুয়া। নিয়ম ভেঙে তারা ছাদে ৪৪ থেকে ৪৬ জন যাত্রী তুলেছিল।

হানিফ পরিবহনের একটি বাস রাস্তায় থাকা যাত্রীদের চাপা দেয় বলে তদন্ত কমিটি জানতে পারলেও ওই বাসটি এবং তার চালককে সনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে বলে ওবায়দুল কাদের জানান।

ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১৭টি সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নাটোরের অতিরিক্ত জেলা হাকিম মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) এবং বিআরটিএ-র একজন সহকারী পরিচালক এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই