হাতিরঝিলের সেই গাড়ির মালিক কে?

শুল্ক ফাঁকির কথা জেনে হাতিরঝিলে ফেলে যাওয়া বিলাসবহুল গাড়ির মালিক শনাক্ত হয়নি ১১ দিনেও। গত ১০ এপ্রিল গাড়িতে একটি চিঠি লিখে সড়কের ধারে গাড়িটি ফেলে গিয়েছিলেন এর মালিক। ওই চিঠিতে নিজেকে সম্মানিত নাগরিক উল্লেখ করে তাকে না খোঁজার অনুরোধ করেছিলেন তিনি।

তবে ওই অনুরোধ রাখার কোনো কারণ দেখছে না শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। তারা গাড়িটির মালিককে খুঁজে বের করে তার কাছ থেকে শুল্ক আদায় করার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বিলাসবহুল গাড়িটি জার্মান পোরশে কার। এর দাম চার কোটি টাকা। এই ধরনের গাড়ি বাংলাদেশে আনতে দামের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি কর দিতে হয়। এ কারণে নানা কৌশলে অনেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসেন।

ফেলে রাখা গাড়িটির চালকের আসনে একটি চিঠিও পাওয়া গেছে। চিঠিতে নাম-ঠিকানা কিছুই লেখা নেই। এতে লেখা হয়, ‘জনাব, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে এই গাড়িটি ব্যবহার করছি। গাড়িটি আমার অনেক প্রিয় ও আবেগের। সম্প্রতি আমি জানতে পারি, এই গাড়িটি ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া হয়েছে।’

নিজের পরিচয় প্রকাশ না করলেও ওই ব্যক্তি লেখেন, ‘আমি সমাজের সম্মানী ব্যক্তি। আমাকে অনেকে চিনে। মানসম্মানের কথা ভেবে আমি নিজের ইচ্ছায় গাড়িটি ফেলে রেখে গেলাম। দয়া করে আমাকে আপনারা খোঁজার চেষ্টা করবেন না।’

গাড়িটি উদ্ধারের পর এর মালিককে খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। তবে মালিককে খুঁজে বের করা যায়নি।

অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১০ সালে ফরিদা ইয়াসমিন নামে একজন ইংল্যান্ড থেকে গাড়িটি নিয়ে আসেন বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এর বাইরে আর কোনো তথ্য পায়নি শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আর ওই নারী যে গাড়িটি কারও কাছে হস্তান্তর করেছিলেন কি না তাও জানা নেই তাদের কাছে। আবার এই গাড়িটি আনার সময় যে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছিল, সেটি এর ভেতরে পাওয়া চিঠিতেই স্পষ্ট।

জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান বলেন, ‘গাড়িটির প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করতে কাজ করছে আমাদের তদন্ত দল। তবে এখন পর্যন্ত গাড়িটির প্রকৃত মালিকের ব্যাপারে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।’



মন্তব্য চালু নেই