হত্যা না আত্মহত্যা নবম শ্রেনীর ছাত্রীর লাশ দাফন নিয়ে তোলপাড়

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিয়ে রাতের আধারে একটি প্রভাবশালী মহল কর্তৃক লাশ দাফন করার অভিযোগ উঠেছে । ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে পড়ায় শুক্রবার এলাকার সচেতন মহল সাংবাদিকদের জানায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী নাজিরা আক্তার (১৩)। সে গাড়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়া লেখা করে। তাঁর রোল নম্বর ৪৭।

গত ১৪মে বাড়ির অদুরে সন্ধ্যার আগে একটি পাট ক্ষেতে মুখে কিটনাশক পান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে তাৎক্ষনিভাবে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে স্থানান্তরিত করা হয়। রংপুর নেয়ার পথে পাগলাপীর নামক স্থানে মেয়েটির মৃত্যু ঘটে। অভিযোগ মতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকার প্রভাবশালী একই গ্রামের মৃত একরামুল হকের ছেলে জিল্লুর রহমান ওরফে নিন্দালুর নির্দেশে মেয়েটির লাশ গ্রামে নিয়ে দাফন করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ মেয়েটির সাথে একই গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে পারভেজের প্রেমের সর্ম্পক ছিল।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা নাজিরার বাড়িতে গেলে তাদের পরিবারের পক্ষে কেউ কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ধারনা করা হয় কোন প্রভাবশালীর হুমকীর কারনে পরিবারটি হয়তো জি্িম্ম হয়ে থাকায় কিছু বলতে পারছেনা। তবে এক পর্যায় নাজিরা আক্তারের মা জাহানারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে প্রচুর পান সুপারী খেত। বেশি পরিমানে পান খাওয়াতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

তবে কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার গাউছুল আজম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নাজিরা আক্তারকে কিটনাশক পান অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। এখানে তাকে ওয়াশ করার পর তাকে তাৎক্ষনিকভাবে রংপুরে পাঠানো হয়। কিন্তু পথে মেয়েটির মৃত্যু হয় বলে জানতে পারি। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঘটনাটি কেউ থানায় অবগত করেনি। তবে শুক্রবার মানুষ মুখে অভিযোগ পেয়েছি লাশ গোপনে দাফন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।



মন্তব্য চালু নেই