‘হঠাৎ করেই মাদ্রাসা থেকে উধাও হন আবুল কাশেম’

নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা শায়খ আবুল কাশেম দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের একটি মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে এক বছর চাকরি করলেও তার সম্পর্কে কিছুই জানেন না ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ঢাকায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে জেএমবির এই শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর হতভম্ব ওই মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

শায়খ আবুল কাশেম কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ভাটিয়ারচর গ্রামের শওকত আলীর পুত্র। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অকড়াবাড়ী হামিদিয়া ইসলামিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় একবছর শিক্ষকতা করেন তিনি।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হামিদ শাহ জানান, মাওলানা আবুল কাশেম ২০১৫ সালে প্রিন্সিপাল হিসেবে চাকরি নেন। প্রায় একবছর সেখানে চাকরি করার পর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে হঠাৎ উধাও হয়ে যান তিনি। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুজির পরও পাওয়া যায়নি। ওই মাদ্রাসায় শায়খ আবুল কাশেমের তিন ছেলেও পড়তেন। পররবর্তীতে তারাও চলে যান মাদ্রাসা থেকে।

এতিমখানা ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আরো জানান, তিনি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত, তা তারা কখনই বুঝতে পারেননি।

উল্লেখ্য, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে শায়খ আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে। কাশেম জেএমবির বিভক্ত একটি অংশের ‘আমির’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এক সময়। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই ‘শায়খ আবুল কাশেম’ জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জেএমবির সদস্যরা তাকে ‘বড় হুজুর’ বলে সম্বোধন করেন।



মন্তব্য চালু নেই