স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে রংপুরের একটি আদালত।

সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান পাঁচ বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় দেন।

স্বামীকে হত্যার পর লাশ তিন টুকরা করার এ মামলায় দণ্ডিত সুফিয়া বেগম (৪৪) এখন পলাতক রয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পিপি আব্দুস সাত্তার জানান, সুফিয়া পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারের দিন থেকেই রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে জানানো হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে ৪ এপ্রিল রাতে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ জেবি সেন রোড এলাকার ধান-চাল ব্যবসায়ী আহসানুল হক বেলালকে (৫০) দুধের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ান স্ত্রী সুফিয়া বেগম।

পরে ঘুমন্ত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ তিন টুকরা করে বস্তায় ভরে অটোরিকশা করে বাড়ি থেকে আট কিলোমিটার দূরে রংপুর নগরীর ছয় নম্বর ওয়ার্ডের জলছত্র এলাকায় একটি কবরস্থানে নিয়ে যান।

সেখানে লাশটি ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হন সুফিয়া বেগম।

পরদিন রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সুফিয়াকে গ্রেপ্তারের পর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওইদিনই নিহত বেলালের ছোট ভাই আসাদুল হক বুলবুল বাদী হয়ে সুফিয়া বেগমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম ২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর সুফিয়া বেগম ও ওষুধ বিক্রেতা হুমায়ুন কবীরের নামে অভিযোগপত্র দেন।

ওষুধ বিক্রেতা হুমায়ুন কবীরের দোকান থেকে ঘুমে বড়ি কেনার কথা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে স্বীকার করেন সুফিয়া বেগম।

তবে বাদীপক্ষ তা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় হুমায়ুন কবীরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন সুফিয়া। কিছুদিন প্রকাশ্যে থাকার পর আত্মগোপনে চলে যান বলে জানান এপিপি আব্দুস সাত্তার।



মন্তব্য চালু নেই