স্বস্তির বৃষ্টি শিগগির, তবে অপেক্ষা করতে হতে পারে সোমবার পর্যন্ত

বৈশাখের শুরু থেকেই অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে সারাদেশের তাপমাত্রা। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রায় একই তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রাতের বেলায়ও তেমন পার্থক্য হচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে নাকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের জনজীবন। শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পার করছে দুর্বিষহ দিন। সবার প্রতীক্ষা একটুখানি বৃষ্টি। গত কয়েক দিন আবহাওয়া দপ্তার কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি। তবে তারা এখন বলছেন, খুব শিগগিরই স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলবে। এতে তাপামাত্রা সহনীয় মাত্রায় নেমে আসবে দ্রুত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বেশকিছু স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখী ঝড়।
রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। আবার কোথাও কোথাও আরো অধিক বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলের পর পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বেশকিছু স্থানে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এতে করে কমবে গরম।’

এছাড়া রাজশাহীতে বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে- ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশের দু’টি স্থানে- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে।
সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। যা পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়েছে।


মন্তব্য চালু নেই