স্থায়ী হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের ২৮৭ পদ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় ও এর মাঠ পর্যায়ের ২৮৭ টি পদ স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জুন থেকে পদগুলো স্থায়ী হচ্ছে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন ইসি থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবেরর কাছে ইসির সহকারি সচিব মো. লুৎফুল কবীর সরকার এ সংক্রান্ত চিঠিটি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের ২৯১ টি পদ স্থায়ীকরণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হলে মন্ত্রণালয় ২৯১ টি পদের মধ্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের ১ টি পদ, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ১ টি পদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজারের ১ টি পদ ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজারেরর ১ টি পদ সর্বমোট ৪টি পদ ব্যতিত ২৮৭ টি পদ স্থায়ীকরণের সম্মতি দেয়। তবে পদগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ ও স্থায়ীকরণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতি দরকার।

ইসি সূত্র জানায়, স্থায়ী হতে যাওয়া ২৮৭ টি পদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের ২২০ টি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ৫১ টি এবং নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৬ টি পদ রয়েছে।

ইসির সহকারী সচিব মো. লুৎফুল কবীর সরকার বলেন, ২০১১ সালে এটিএম শামসুল হুদা স্যারের আমলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে অস্থায়ীভাবে কিছু পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে পদ সৃষ্টির তিন বছর পর এই দুই মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে স্থায়ী করতে হয়। ২০১১ সালে অস্থায়ীভাবে সৃষ্টি করা পদগুলো স্থায়ী করার প্রক্রিয়া চলছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ইসি সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ২ হাজার ১২৯ জন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়েছে ২৫৪ জন।

সূত্র আরো জানায়, ইসি সচিবালয়, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠ পর্যায়সহ মোট ৭৯১ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০ জন বর্তমানে কর্মরত আছেন এবং বিভিন্ন কারণে বাকি ২৫১ টি পদ খালি রয়েছে। কমিশন সচিবালয়ের ৮৫ টি প্রথম শ্রেণির পদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ৭ টি পদ খালি রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই