স্ত্রী নিয়ে টানাটানি: নাজমা তুমি কার?
নাজমা তুমি কার? হয়তো একথা বলার প্রয়োজন পড়তো না যদি নাজমা এক স্বামীর সংসারে থাকতো। কিন্তু দুই স্বামী নিজের বউ দাবি করে রশি টানাটানি করায় সত্যি বলতে হচ্ছে নাজমা তুমি কোন স্বামীর?
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শৌশালিয়া গ্রামের গৃহবধূ নাজমাকে নিয়ে দুই স্বামী আ. করিম ও সালেহ উদ্দিন মানিকের মধ্যে টানা হেচড়া চলছে। বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার গ্রাম্য শালিশ ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশ দারস্থ হতে হচ্ছে।
পশ্চিম শৌশালিয়া গ্রামের সাহাদাত হোসেনের অকাল মৃত্যু হলে তার স্ত্রী নাজমা বেগম একই গ্রামের করিমের সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া মজে যায়। দীর্ঘ ৫ বছর এভাবে চলে। অবশেষে তারা ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। সেই সংসারে ঠিকই চলছিল নাজমা করিমের জীবন যাপন।
সময় গড়িয়ে যায় নাজমার মন নতুন কিছু খোঁজে। তাই অবসর কাটে ফেসবুকে। আর ফেসবুকের দুনিয়ায় ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয় লামচর গ্রামের সালেহ উদ্দিন মানিকের সঙ্গে। জানাশুনা ও ঘনিষ্টতা বাড়ে। তারা পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন।
স্বামী করিমের সংসারে থাকার অবস্থায় ৪ মাস আগে স্কাইপিতে সালেহ উদ্দিন মানিকের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিষয়টি জানতে পেরে করিম স্ত্রীকে পেতে গ্রাম্য মাতব্বরদের ধারস্থ হলে মানিক নানাভাবে করিমকে হয়রানি করতে থাকে। এরি মধ্যে স্ত্রী নাজমা স্বামী করিমের কাছ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে মানিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে।
এ ঘটনায় স্বামী করিম ১০ নভেম্বর রামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আ. করিম বলেন, ‘স্বামী হিসেবে অযোগ্য হলে আমাকে তালাক দিয়ে অন্য পুরুষকে স্বামী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। কিন্তু সে এখনো আমার স্ত্রী।’
এদিকে নতুন স্বামী মানিকের বাবা আবুল হাসান বলেন, ‘করিমের সঙ্গে নাজমার আগে কী সর্ম্পক ছিল আমাদের জানার প্রয়োজন নেই। স্কাইপিতে আমার ছেলে মানিকের সঙ্গে নাজমার বিয়ে হয়েছে। ছেলের বউ হিসেবে আমি নাজমাকে ঘরে তুলে নিয়েছি।’
এ ঘটনার মূল নায়িকা নাজমা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘করিম আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আর মানিক সবকিছু জেনে শুনে আমাকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারবো না।’
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই