জেনে নিন বিমানবালা হওয়ার আগের প্রস্তুতি

ছোটবেলা থেকেই অনেকের অনেক রকম স্বপ্ন থাকে। বড় হয়ে কেউ হতে চান ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ পাইলট আবার কেউ হতে চান বিমানবালা। তবে এর মধ্যে পেরুতে হয় অনেকটা পথ। করতে হয় যত্নের সঙ্গে সাধনা। তাই বিমানবালা হিসেবে চাকরিতে যুক্ত হওয়ার আগেই আপনাকে হতে হবে যথেষ্ট সচেতন। অভ্যাস করতে হবে শত কাজের পরেও নিজেকে সুন্দরভাবে ধরে রাখার কৌশল। আসুন জেনে নেয়া যাক বিমানবালারা কিভাবে নিজেদের ধরে রাখেন।
বিমানবালা হতে প্রথমেই দরকার দর্শণধারী চেহারা, তারপর যোগ্যতা। বিমানবালাদের নানা ঝঞ্জাটের মধ্যে দিয়ে হাসিমুখে সব রকম যাত্রীকে সামলাতে হয়। এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণেই সব জানিয়ে দেয়া হয়। তদের বলা হয় বিমান মাটিতে নামার আগে তারা যেন অবশ্যই আই জেল, ময়শ্চারাইজার ও এক্সফ্লোয়িয়েটর ব্যবহার করেন।
আকর্ষণীয় চুলের যত্নে বেছে নিতে হয় প্রয়োজনীয় প্রসাধনী। চামড়ায় নমনীয়তা ধরে রাখতে ভেষজ প্রসাধনীর ওপর বিশেষ নজর দেন তারা। এছাড়া খনিজ লবন যুক্ত প্রসাধনী এবং গাঢ় রং এর ব্যবহার এড়িয়ে যান। ব্লেমিশ বেস ব্যবহারে নিজেকে বিশেষভাবে স্নিগ্ধ রাখে। আবার যখন মেকআপ তুলে ফেলতে হয়, তখন এ্যালকোহল মুক্ত রিমুভার ব্যবহার করেন। তাদের বলা হয় ফ্লাইট চলাকালে ডিউটির সময় হাইড্রেশন মাস্ক ব্যবহার করতে, যাতে তাদের চামড়া শুষ্কতা থেকে রক্ষা পায়। ঠোঁটে সুগন্ধ বাম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া থাকে।
বিমানবালাহালকা রং চোখে ব্যবহার করে সহজে ক্লান্তি বোধ হয় না। কারণ এতে চোখের প্রতিফলন হয় হালকা। আর সাদা ধরনের ময়শ্চারাইজার চামড়ার জন্যে সবচেয়ে সহায়ক। চুলে নিয়মিত কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে চুল থেকে কোনো বৈদ্যুতিক তরঙ্গ নি:সৃত হয় না। চুলকে মলিনও করতে পারে না। কেবিন ক্রুদের মধ্যে যারা পুরুষ তারা চুলে শেভিং ওয়েল ব্যবহার করেন। ত্বকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করেন। শরীরে রক্ত চলাচল করতে তারা কৌশলে বিমান চলাচলের সময় কিছুটা হাঁটাহাঁটি সেরে নেন।
মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে তারা পনীর, ক্রিসপি বা নোনতা খাবার, মাংস সহজে খান না। এজন্যে প্রচুর পানি, ডাবের পানি, ফলের রস বিশেষ করে শসার রস তাদের বিশেষ পছন্দ। খাবার হিসেবে প্রচুর পানি রয়েছে এমন ধরনের সবজি তাদের প্রথম পছন্দ। এককথায় কেবিন ক্রুদের স্বাস্থ সচেতন এবং সাজ-পোশাকে বেশ পারদর্শী হতে হয়। একই সঙ্গে সৌন্দর্য চর্চা, শরীর চর্চা করাটা বেশ জরুরিভাবে মেনে চলেন।
কেবিন ক্রু হেলেন জানান, তাদেরকে সব কিছু মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে তাদের স্কিন কেয়ারে আপোষহীন হতে হয়। কারণ তারা এয়ারলাইনের সামনে সারিতে অবস্থান করেন। তাদের ব্যক্তিত্ব সবাইকে আকর্ষণ করে এবং মর্যাদাপূর্ণ একটি এয়ারলাইন্সের জন্যে এটি সরাসরি জড়িত। তাই প্রথম নজরেই সবার চোখে পড়ার প্রবণতাটা তাদের মাথায় রাখতে হয়।



মন্তব্য চালু নেই