সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেই

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল করার কোনও সুযোগ নেই।’

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিএনপি-জামায়াতের হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কামরুল বলেন, ‘সংবিধানে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার কোনও সুযোগ নেই। অতীতের মত দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কোনো ঘটনা ঘটানোর আশঙ্কাও নেই। বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী যেভাবে হত্যা করেছিল, সে বাহিনী এখন আর নেই।’

নাগরিক কমিটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাদের অবস্থা- ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার, গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল।’

তিনি বলেন, ‘মান্না ভাইয়ের একটি ফোনালাপ ইন্টারনেটে শুনে এলাম। অপরপাশ থেকে এক ব্যক্তি বলছেন, মান্না ভাই আপনি সরকার গঠন করেন। তিনি অপর পাশের ব্যক্তিকে বলছেন, আপনারা চিন্তা করবেন না, আমি সব কিছু করছি। মান্না ভাই জানেন না সেই দিন আর এখন নেই।’

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পেট্রোল বোমা মেরে এ পর্যন্ত ৯০ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছেন। তাই সন্ত্রাস দমন আইনে এ হত্যার বিচার হবে। এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যারা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও তাদের মদদদাতাদের বিচার হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার বিচার হবে না, তা ভাববেন না। মামলা থেকে বাঁচতে আপনি (খালেদা জিয়া) পারবেন না। আপোস রফা করেও লাভ হবে না। এর বিচার করতেই হবে। তা না হলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।’

সংলাপ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কাদের সঙ্গে সংলাপ। খুনি ও পশুদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।’

২০ দলীয় জোট ও বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ব্যর্থ। তাই আপনাদের নেত্রীকে পদত্যাগ করতে বলুন। তাহলেই শুধু ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি জনগণের কাছে যেতে পারবে।’

নাগরিক কমিটির উদ্দেশ্যে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। তাই মান্না ভাই প্রস্তুতি নেন। সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিও প্রস্তুতি নিক। কাতুকুতু দিয়ে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে তা সময় মতো।’

সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মো. গোলাম কুদ্দুছ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী জিন্না, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই