সেই বিমানে এরশাদও ছিলেন !

সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার পথে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দুই শতাধিক যাত্রীর মতো প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকেও কয়েক ঘণ্টা ‘শঙ্কার মধ্যে’ কাটাতে হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইনসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকালে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন এবং সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ফ্লাইট বিজি-০৮৫ এ দুই দফা জটিলতা দেখা দেয়।

তবে শেষ পর্যন্ত ২০৬ জন যাত্রী নিয়ে নিরাপদেই ঢাকায় অবতরণ করেন ওই বিমানের পাইলট।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে ওই বিমানে দেশে ফেরেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

বাবুল বলেন, “কী বলব, অল্পের ওপর দিয়ে আমরা বেঁচে ফিরেছি।”

বিমান কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার বিকাল ৪টায় উড্ডয়নের পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এয়ারবাস এ ৩১০ মডেলের উড়োজাহাজটি আবারও সিঙ্গাপুরে অবতরণ করে।

ত্রুটি সারানোর পর জাহাজটি সন্ধ্যায় রওনা হলেও ঢাকায় নামার আধাঘণ্টা আগে পাইলট ইঞ্জিনে আগুন লাগার সংকেত পান এবং জরুরি অবতরণের বার্তা পাঠান নিয়ন্ত্রণ কক্ষে।

বাবলু বলেন, “বিমানটি এমনিতেই ৩০ বছরের পুরনো। প্রথমবার যখন ত্রুটি সারানো হল, তখন আমরা ভেবেছিলাম সব ঠিক আছে। কিন্তু পরে যখন আবার ত্রুটি দেখা দিল, বিমানের ভেতরে তখন প্যানিক পরিস্থিতি। যাত্রীরা সবাই আতঙ্কিত ছিল, শিশুরা কাঁদছিল। আমি এবং স্যার যাত্রীদের ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”

এরশাদের রাজনৈতিক ও প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায় বলেন, “স্যার মেডিকেল চেকআপের জন্য মাঝেমধ্যেই সিঙ্গাপুরে যান। ৬-৭ দিন আগে স্যার এবং পার্টির মহাসচিব সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।”

গত ২০ মার্চ নিজের ৮৬তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের দোয়া চেয়ে সাবেক সেনাশাসক এরশাদ বলেছিলেন- কারাগারে থাকার কারণে তার জীবনের যে ছয় বছর ‘হারিয়ে গেছে’ তা সৃষ্টিকর্তা যেন তার আয়ুর সঙ্গে যোগ করে দেন।

আরো পড়ুন :

দূর্ঘটনা কবলিত ঐ বিমানে বাংলাদেশের যাত্রীদের শ্বাসরুদ্ধকর ৫ ঘন্টায় কি হয়েছিল জানুন



মন্তব্য চালু নেই