সুয়ারেজের জোড়ায় বার্সার ইত্তিহাদ জয়

লুইস সুয়ারেজের ইংল্যান্ডে ফেরাটা হলো মধুচন্দ্রিমায় মাখানো। এই ইত্তিহাদে লিভারপুলের লাল জার্সি পরে কত ম্যাচই তো খেলেছিলেন। সেগুলোর চেয়ে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটার মধ্যে নিশ্চয় অনেক পার্থক্য। সেই পার্থক্যটাই তিনি ইংলিশদের বুঝিয়ে দিলেন জোড়া গোল করে।

উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে বার্সেলোনা ২-১ ব্যবধানে জয় করে গেলো ম্যানসিটির হোম ভেন্যু ইত্তিহাদ স্টেডিয়াম। ম্যানসিটির পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো।

গত বছরও দ্বিতীয় রাউন্ডে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। এবারও যখন পূনরায় কাতালানদের মুখোমুখি হতে হলো, তখন ম্যানসিটির প্রত্যাশা ছিল, গতবারের হারের প্রতিশোধ। কিন্তু উল্টো নিজেদের মাঠেই হেরে শেষ আটে ওঠার পথে নিজেদের কাজটা আরও কঠিন করে ফেলল ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনর শিষ্যরা।

শেষ আটে যেতে হলে আগামী ১৮ মার্চ বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে মেসি-নেইমারদের হারিয়ে আসতে হবে ম্যানচেস্টারের দলটিকে। যেটা রীতিমত অসম্ভবই।

Barcaসিটির মাঠে ম্যাচটি খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে একবার লাল কার্ডও ব্যবহার করতে হয়েছে রেফারিকে। ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড সমাল লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হন ম্যানসিটির জিল ক্লিচি। এমনকি বার্সার বিপক্ষেও তিনবার হলুদ কার্ড পকেট থেকে বের করতে হয়েছিল রেফারিকে।

১৬ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন সুয়ারেজ। ডান দিক থেকে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত একটি ক্রস ডি বক্সে মধ্যে হেড করে ক্লিয়ার করতে ব্যার্থ হন ম্যানসিটি অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি। উল্টো তার শরীরে লেগে বল চলে যায় সুয়ারেজের পায়ে। সুযোগটা আর মিস করেননি সুয়ারেজ। কোনাকুনি শটে বল জড়িয়ে দিলেন ম্যানসিটির জালে।

৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে ফেলেন সুয়ারেজ। এই গোলটিতেও দারুন অবদান ছিল মেসির। স্বদেশি ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতাকে বোকা বানিয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি পাস দেন জর্দি আলবাকে। তার একেবারে মাটি কামড়ানো ক্রস থেকেই পা লাগিয়ে ম্যানসিটির গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে জালে বল জড়ান সুয়ারেজ।

messi-1১৩তম মিনিটেও গোলের সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। কিন্তু নেইমারের বাড়ানো বল সিটির জালে জড়াতে ব্যর্থ হন মেসি। এর একটু পর গোলরক্ষককে একা পেয়েও পোস্টে শট নিতে ব্যর্থ হন সুয়ারেজ।

৬৯ মিনিটে ব্যবধান কমান সার্জিও আগুয়েরো। বার্সা ডিফেন্ডার হ্যাভিয়ের মাচেরানোকে কাটিয়ে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভা ব্যাকহিলে বল সামনে বাড়ালে দ্রুত ছুটে আসা আগুয়েরো বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে কোনাকুনি শটে বার্সার জালে বল জড়িয়ে দেন।

এর আগে একবার, ৫৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। ডি বক্সের বাইরে একজনকে কাটিয়ে জোরালো এক শট নেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর একটু পর তার আরও একটি আক্রমণ রূখে দেন জেরার্ড পিকে।

Mancityশেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা। যোগ করা সময়ে (৯০+৩) ডি বক্সের মধ্যে স্বদেশি ডিফেন্ডার জাবালেতা মেসিকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন মেসি। মূলত তার শট ঠেকিয়ে শেষ মুহূর্তের নায়ক বনে যান ম্যানসিটি গোলরক্ষক জো হার্ট।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দিনের অন্য ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাস ২-১ গোলে হারিয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে।messi



মন্তব্য চালু নেই