সুরঞ্জিতের এপিএস ওমর ফারুকের ৫ বছরের কারাদণ্ড

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আইনজীবী মো. ওমর ফারুক তালুকদারকে দুদকের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আতাউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় ওমর ফারুক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার মালিকানাধীন মোহাম্মদপুরের ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যদি আরোপিত অর্থদণ্ড তার স্থাবর- অস্থাবর থেকে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছর ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।

আসামির আইনজীবী পূর্ণেন্দু দেবনাথ পিনাকি বলেন, ‘আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দায়ের করা মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত আসামিকে খালাস দিয়েছেন। কিন্তু ২৭(১) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ দণ্ড দিয়েছেন।’

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সম্পদ, তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট রমনা থানায় দুদকের উপপরিচালক রাশেদুল রেজা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদুল রেজা। এর পরের বছর ১৬ মে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে অভিযোগপত্রভূক্ত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওমর ফারুক কর্তৃক দুদক বরাবর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুদক কর্তৃক যাচাই ও অনুসন্ধানকালে মোট ৫০ লাখ ৯৩ হাজার টাকার (দান, উপহার ওউত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত) স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার (উপহার ব্যতীত) অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯৮০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার বিষয়টি পাওয়া গেছে এবং ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ১৮০ টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক দুদক বরাবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিবরণী দাখিল করেন।



মন্তব্য চালু নেই