সুনাম কুড়ালে গর্ব, না হলে লজ্জা

বিমানকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিমান শুধু জীবন-জীবিকার পথই নয়, একটি জাতীয় প্রতীক; যা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। বিমান আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান। সুনাম কুড়ালে আপনাদের গর্ব হবে, না হলে লজ্জা হবে।’

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী’র উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
নতুন এ উড়োজাহাজ দুটি গত মাসে ঢাকায় আসে। উড়োজাহাজ দুটির নাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। বিশ্বখ্যাত বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে উড়োজাহাজ দুটি কেনা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশএকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ এমন একটি জায়গা, যা পূর্ব-পশ্চিমে সেতু গড়তে পারে। পাশ্চাত্য-প্রাচ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার সব সক্ষমতা আমাদের আছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আমরা সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিমান সারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় যাবে। বিশ্বের দেশে দেশে যেখানেই বাঙালি রয়েছে তারা বিমানে চড়তে চান। এজন্য বিমানকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যাত্রীসেবা বাড়াতে হবে।’

বিমানকে আরো লাভজনক করতে কার্গোর প্রয়োজন। এজন্য যে ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন তা দেয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বসেরা বোয়িং কোম্পানির নিজস্ব ৬টি ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ এখন বিমানবহরে আছে। বর্তমান সরকারের আমলে আরও ৪টি নতুন ড্রিমলাইনার যুক্ত হবে বিমানবহরে। এটা সম্ভব হলে বিমান হবে স্বপ্নের এয়ারলাইন্স।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিসে বিদেশি পার্টনার সংযোগ হবে। এরপর আর লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে যাত্রী দুর্ভোগ থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ ও বিমানের ভারপ্রাপ্ত সিইও উইং কমান্ডার (অব.) আসাদুজ্জামানসহ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিমানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই