সিলেটে তারেকের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, তদন্তের নির্দেশ

লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে মানহানিকর ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সায়েদুল করিম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সিলেট কোতোয়ালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাহাত তালুকদার।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডিশনাল পিপি শামসুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ৪৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৫ ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের দ্যা অট্রিয়াম অডিটরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির আটদিনের অনুষ্ঠানমালার সপ্তম দিনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহহমান বলেন, ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলছি, শেখ মুজিব রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেন। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসার ঠিক আগে ইয়াহিয়া খানকে প্রেসিডেন্ট মেনে তার সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ মুজিব ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর হামলার আগ পর্যন্ত ইয়াহইয়া খানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতাকামী জনগণ তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ নস্যাত করে দিয়েছিল।’
তারেক বলেন, ‘একটার পর একটা অপকর্ম করে রংহেডেড শেখ হাসিনা বিপদে পড়লেই জনগণকে ধোকা দিতে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে নয় আন্দোলন করেছিলেন পূর্বপাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনের জন্য। শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি বলেই সুযোগ পেয়েও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। পাকিস্তান আমলের পুরো সময়টাতে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক জীবনে কোথাও কোনো সমাবেশে প্রকাশ্যে কখনোই তার মুখ থেকে কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা উচ্চারিত হতেও শোনেনি। শেখ মুজিব চেয়েছিলেন ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে।’



মন্তব্য চালু নেই