সিম নিবন্ধনে টাকা আদায়
টাকা রিচার্জ ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের দাবি, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকাসহ আটটি বিভাগে গ্রাহক সেবা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহকের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৪ কোটি। রাজস্ব আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এ খাত। অথচ এ খাত সবচাইতে অবহেলিত ও প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, ১৪ কোটি গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি গ্রাহকই ২০ থেকে ৩০ টাকা দৈনিক রিচার্জ করে থাকেন। আর এ সকল গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি রিচার্জে অতিরিক্ত ১ টাকা নিয়ে থাকে। অতিরিক্ত ১ টাকা না দিলে ১ টাকা কম দিয়ে রিচার্জ দিয়ে থাকে রিটেলাররা। এতে তারা দৈনিক ১২ থেকে ১৩ কোটি এবং মাসিক ৩৬০ কোটি টাকার বেশি নিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে রিটেলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, রবি, সিটিসেল ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমিশন দেয়। বাংলালিংক দেয় ২ দশমিক ৮ শতাংশ, টেলিটক দেয় ৩ শতাংশ যা, দিয়ে দোকানের ভাড়ায় ওঠে না। তাই তারা বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ১ টাকা নিয়ে থাকেন।
অন্যদিকে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ৪০ শতাংশ রিটেলারের কাছে এ পদ্ধতির সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে। গ্রামীণফোন ৫ শতাংশ, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক ও সিটিসেলের এক্ষেত্রে তৎপরতা দেখা যায়নি বলে জানায় এ সংগঠন। তাছাড়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে প্রতিটি সিমের নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে রিটেলাররা ১০-২০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এক্ষেত্রে রিটেলাররা বলেন, কোম্পানি তাদের ১ দশমিক ৮০ টাকা প্রতিটি সিমে ভ্যাট ছাড়া কমিশন দেয় এবং প্রতিটি সিম নিবন্ধন করাতে ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগে, যা করাতে গিয়ে ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়। ব্যবসার ক্ষতি পূষিয়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারের এ ব্যাপারে মনিটরিং না থাকার কারণে দেশের মানুষ, তথা মোবাইল ফোন গ্রাহকরা এ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি তদারকি করার অনুরোধ জানিয়ে বিটিআরসিকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তবুও তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে তাদের বিশ্বাস।
মন্তব্য চালু নেই