সিইসি ছাড়া অন্য কমিশনারদের কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা ছাড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে অন্য কমিশনারদের কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ কথা বলতে পারবেন।

ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিনিয়িত সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত ব্যবস্থায় ব্রিফিং, সংবাদ সম্মেলন ও তথ্য সরবরাহ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিফিং/সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন। নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালি) বিধিমালা ২০১০ অনুযায়ী, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন এবং কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হলে সচিব ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করবেন না।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তথ্য গোপনীয়তার প্রবণতা দেখা যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা চারজন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ চেয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও অনেক নির্বাচন কমিশনার তাতেও রাজি হননি।

এ বিষয়ে একাধিক নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সিইসি অথবা সচিব ছাড়া তারা গণমাধ্যমে কোনো ধরনের বক্তব্য প্রদান করবেন না বলে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই বলে সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন।

তবে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনাররা কোনো নির্বাচনী এলাকায় গেলে কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলবেন। সেক্ষেত্রে ওই নির্বাচনী সফরে কি ধরনের কথা বলবেন তাও পাঁচ সদস্যর কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।



মন্তব্য চালু নেই