আনন্দের বন্যা সাতক্ষীরার চাঁদপুর এলাকায়
সাড়ে ৩ বছর পর সোমালিয়া থেকে মুক্তি পেল সাতক্ষীরার অপহ্নত ৪ নাবিক
আব্দুর রহমান,সাতক্ষীরা ॥ সোমালিয়ার জলদসু্যুুদের হাতে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী থাকা সাতক্ষীরার চারজনসহ সাত বাংলাদেশি নাবিককে মুক্তি দিয়েছে দস্যুরা। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশি ৭ নাবিক কেনিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে নাবিকরা তাদের স্বজনদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ রোববার তারা ঢাকায় পৌঁছাতে পারেন বলে জানা গেছে। এ খবরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের কাছে পাওয়ার আনন্দে অনেকে অঝরে কেদেছেন। অনেকে আদায় করেছেন নফল নামায। সরকারকে জানিয়েছেন গভীর কৃতজ্ঞতা।
২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর বন্দী হওয়া মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আলভাঁদোয় থাকা অন্য দেশের নাগরিকসহ সাত বাংলাদেশি নাবিককে অপহরণ করা হয়। জাহাজে বাংলাদেশি বন্দী ছিলেন সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত মৌ হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, ধুলিহর ইউনিয়নের ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান ও নুরুল হক এবং আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মো. আবুল কাশেম। মুক্তি পাওয়া গোলাম মোস্তফার ভাই আব্দুল আলিম জানান, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার ভাইসহ ৭ বাংলাদেশি নাবিক আমাদের বুকে ফিরে আসছে। এ আনন্দ প্রকাশ করার মত ভাষা আমার নেই। একই কথা বলেন, আবুল কাশেমের পিতা আব্দুর রউফও। তিনি বলেন, হারানো সন্তান ফিরে পাওয়ার যে আনন্দ তা আমি এই মুহূর্তে প্রকাশ করতে পারছি না। আমার সন্তান ফিরে আসার খবরে নফল নামায আদায় করেছি। নূরুল হকের স্ত্রী প্রতিবন্ধী জোসনা খাতুন স্বামী ফিরে পাওয়ায় আনন্দে কেঁদে ফেলে বলেন, আমার স্বামীকে কখনো ফেরত পাবো তা ভাবতে পারিনি। সরকারের আন্তরিকতা না থাকলে হয়তো আমার স্বামীকে পেতাম না। আজ আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারের যেন ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে।
মন্তব্য চালু নেই