সাত খুনের মামলা বাতিলে নূর হোসেন হাইকোর্টে
বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ওই মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান আকন্দ এ আবেদন করেন।
বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলা শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
আইনজীবী লুৎফর রহমান আকন্দ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে নুর হোসেন ছিলেন সাক্ষ্যে এমন কোনো বক্তব্য উঠে আসেনি। এমনকি র্যাবের অভিযুক্ত সদস্যরা বলেছেন তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ছাড়াও কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রীর করা মামলা হয়েছে ঘটনার ১২দিন পরে। ওই মামলায় এজাহারে কারো নাম নেই। তাই নুর হোসেনের বিরুদ্ধে এ মামলা চলতে পারে না। এ জন্য মামলা দুটি বাতিলে আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ মার্চ মামলা বাতিল চেয়ে করা অপর আসামি তারেক সাঈদের করা এক আবেদনের ওপর শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ এপ্রিল কাউন্সিলর নূর হোসেন এবং রাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাইদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ।
গত ০৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দু’টি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। এ মামলায় ভারতে আটক নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকি ১২ জন পলাতক রয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই