সাতটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে দুদক তদন্তে নেমেছে

মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী, একটি বিদেশী ও দু’টি স্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা যায়, গার্মেন্ট, টেক্সটাইল ও বিদ্যুৎ এই প্রধান তিনটি খাতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংক সাতটির মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এখন ওই তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোতে আমদানির তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া প্রাথমিকভাবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির নামে মুদ্রাপাচারের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিস্তারিত তদন্ত করছে দুদক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান সূত্র মতে, ২০০৫ সালের পর কোনো একক মাসে কখনো ৪০ কোটি ডলারের ওপরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র স্থাপন করা হয়নি। ২০১০ সালের আগস্টে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছিল ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের। ২০১২ সালে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি ওপেন হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে ২৩ কোটি ডলারের। কিন্তু বিদায়ী বছরের শুরু থেকেই মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র স্থাপন বেড়ে যায়। গত এপ্রিলে ৪৪ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র স্থাপন করা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২২০ শতাংশ বেশি। আর গত আগস্টে প্রায় ৪৩ কোটি ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র স্থাপন করা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ কোটি ডলারের। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের মতে, এটা অস্বাভাবিক। কেননা বিনিয়োগের পরিবেশ যখন স্বাভাবিক ছিল তখনো এক মাসে এ পরিমাণ পণ্য কখনো আমদানি হয়নি।

এ দিকে দুদকের চাহিদা মোতাবেক মূলধনী যন্ত্রপাতির বড় অঙ্কের আমদানি হয়েছে এমন ব্যাংকের কাছে তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে বড় অঙ্কের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি হয়েছে এমন সাতটি ব্যাংক শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব তথ্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুদকে সরবরাহ করা হয়েছে। ওই সব তথ্যের ভিত্তিতে দুদক ব্যাংকগুলোতে তদন্ত শুরু করেছে।



মন্তব্য চালু নেই