সাতক্ষীরায় শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এক শিবির নেতা নিহত
সাতক্ষীরায় শিবিরের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছাত্রশিবিরের একজন নেতা নিহত হয়েছেন। পুলিশ সহ আহত হয়েছেন অন্তত ১২ ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২টি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
রোববার বিকেল ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ বাধে।
নিহত আমিনুর ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরা জেলা শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক এবং কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজ সরদারের পুত্র।
সংঘর্ষে শিবিরের আরো সাত নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইনামুল হক বলেন, ‘জেলা শহরের কামালনগরের মুকুলের বাড়িতে শিবিরের গোপন বৈঠক হচ্ছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ২০-২৫টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ৭-৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একজনের মৃত্যু হয়।’
ছাত্রশিবিরের আহত নেতা-কর্মীরা হলেন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের সাহাদাত হোসেনের পুত্র নুর মোহাম্মদ, তালা উপজেলার খলিষখালীর আব্দুল হকের পুত্র আব্দুস সুবুর, খুলনা শহরের শাহাজানের পুত্র আক্তার হোসেন, শ্যামনগরের মাহবুবের পুত্র ইমরান হোসেন, খুলনার ফুলতলার আব্দুস সাত্তারের পুত্র আজিজুল ইসলাম ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের আবু বক্করের পুত্র আবু তালেব ও আব্দুল গফুর।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন : কনস্টেবল আব্দুর রহমান, কনস্টেবল নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমান।
তবে জেলা জামায়াতের প্রাচার সম্পাদক আজিজুর রহমান বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন, ‘মুকুলের বাড়ি বলে যেটা বলা হচ্ছে সেটা আসলে ছাত্রাবাস। ওখানে ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীরা থাকেন। প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পুলিশ ছাত্রাবাসটিতে প্রবেশ করে। তাদেরকে ধরে চোখ বেঁধে পায়ে গুলি করে পুলিশ। আমিনুরের বুকে গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।’
মন্তব্য চালু নেই