সাতক্ষীরায় ফরমালিন রোধে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা

দীর্ঘদিন পর সুখবর পেল সাতক্ষীরাবাসী। বিষাক্ত খাবারে যখন সবাই আতঙ্কে, তখনই জানা গেল সাতক্ষীরার বাজারে মাছে কোন ফরমালিন নেই। মৌসুমী ফল আম, জাম, কলা, আপেল সহ প্রস্তুতকৃত প্রায় সকল খাদ্যেই ফরমালিন কিন্তু মাছে ফরমালিন নেই। ‘অন্ন বস্ত্র বাসস্থান- মৎস্য চাষে সমাধান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার সকাল ১১টায় জেলা মৎস্য ভবনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে ‘ফরমালিন রোধে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়’ সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল অদুদ এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসীন আলী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “ফরমালিন হল এক ধরনের কেমিক্যাল। রসায়ন বিজ্ঞানের ভাষায় মিথান্যাল আর অ্যালকোহল এর জলীয় দ্রবণ। এটি সাধারণত মেডিক্যাল সাইন্স ও বায়োলজি এর বিভিন্ন ল্যাব গুলোতে নানা জীবজন্তুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হয়। মাছে বা ফলে বা অন্য কোন খাদ্যে ফরমালিনের অপব্যবহার একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিধায় এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। স্বল্প মেয়াদে উচ্চ মাত্রায় অথবা দীর্ঘ মেয়াদে নি¤œ মাত্রায়ও ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের কারণে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুকি সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে পারে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, পাটকেলঘাটাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ফরমালিন বিরোধী বিশেষ অভিযানে মৎস্য আড়তসহ বিভিন্ন মৎস্য বাজারে পরীক্ষায় দেখা গেছে মাছে কোন ফরমালিন নেই।” সভার শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ফরমালিনের উপর বিভিন্ন প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর বারী। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, দৈনিক পত্রদূতের সম্পাদকম-লীর সভাপতি আনিসুর রহিম, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান, দেশটিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, মৎস্য চাষী আব্দুর রাজ্জাক ও অনাথ বুধায়। বক্তারা বলেন, ফরমালিন একটি ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য। ফরমালিন রোধে প্রশাসনকে আরো বেশি বেশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া ফরমালিনমুক্ত মাছ বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাবের বর্ণনা সম্বলিত বিলবোর্ড স্থাপনের প্রস্তাবনা পেশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি মোজাফ্ফার রহমান, দৈনিক দিনকালের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল বারী, দৈনিক কাফেলার স্টাফ রিপোর্টার খন্দকার আনিসুর রহমান, আওয়ার নিউজের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, দৈনিক পত্রদূতের মোঃ আব্দুস সামাদ, শেখ তানজির আহমেদ, আব্দুর রহিম, দৈনিক কালের চিত্রের মেহেদী আলী সুজয়, দৈনিক দৃষ্টিপাতের শহর প্রতিনিধি মাহফিজুল ইসলাম আক্কাস, দৈনিক যুগের বার্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা টাইমসের জেলা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, কুষ্ণ ব্যানার্জি সহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।



মন্তব্য চালু নেই