সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর অর্ণব হত্যা : ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা জামিনে মুক্ত

মোঃ বদরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর শিশু অর্ণব দাস হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মুক্তির পর আবারও আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন লাভ করেছেন। একই সঙ্গে আরও দুই আসামি যারা যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত তারাও আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা সবাই জামিনপ্রাপ্ত হন। এরা হচ্ছেন খলিলুর রহমান, গোলাম ফারুক, মতিয়ার রহমান ও সুশীল দফাদার। ২০০০ সালের ১৮ জুন জেলার কালীগঞ্জের চাম্পাফুলে পাখি দেয়ার নাম করে ছোট্ট শিশু অর্ণব দাসকে তার স্কুল থেকে ডেকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখা হয় পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আশীষ রঞ্জন দাস দুই আসামি গোলাম ফারুক ও খলিলুর রহমানকে ফাঁসি এবং চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। এর মধ্যে আসামি মুকুল পলাতক এবং আবদুস সাত্তার মারা যান। আসামিপক্ষ এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত ২০১০ সালের ২৪ আগস্টের আদেশ মোতাবেক দুই ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস দেন এবং অন্যদের কারাদন্ড বহাল রাখেন। পরে বাদীপক্ষ ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট উচ্চ আদালতে এই রায়ের স্থগিতাদেশ পান। এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম শুরু করতেই ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হলে উচ্চ আদালত হাইকোর্টের আদেশ ছয় মাস স্থগিতের নির্দেশ দেয়। এই স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও তৎকালীন জেলা জজ আবুল হোসেন ও জেল সুপার নূরুন্নবী ভূইয়া ফাঁসির দ-প্রাপ্তদের মুক্ত করে দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও আনা হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয় দন্ডপ্রাপ্তরা প্রতারণা করে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছে। সে সময়কার জেলা জজ আবুল হোসেন ও জেল সুপার নুরুন্নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। এসব ঘটনার পর উচ্চ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ফের তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। এ অনুযায়ী মঙ্গলবার চার আসামি গোলাম ফারুক, খলিলুর রহমান, মতিয়ার রহমান ও সুশীল দফাদার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।



মন্তব্য চালু নেই