সাতক্ষীরার খবর

আব্দুর রহমান,সাতক্ষীরা ॥

## শ্যামনগরে ‘পরিবেশ বন্ধ’ু জাকির হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পরিবেশ বন্ধু জাকির হোসেনকে ষড়যন্ত্রমূলক বাধ কাটা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। রোববার বেলা ১২টায় শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্র এবং সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্যরা সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার এবং শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তবিবুর রহমানের কাছে এ স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপিতে নদীর চর ও বাঁধ বনায়ন করে জলবায়ু সম্মাননাপ্রাপ্ত জাকির হোসেনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ এনে তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্রের সভাপতি কৃষক সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুমদ রঞ্জন গায়েন, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সাধারণ সম্পাদক ইমরাম হোসেন, প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রসঙ্গত, শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের মোটরসাইকেল চালক জাকির হোসেন বেশ কয়েক বছর যাবত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খোলপেটুয়া নদীয় বাধ রক্ষায় প্রায় ২ কিলোমিটার নদীর চর ও বাঁধে বনায়ন করে। অথচ গত ১৫ মার্চ বাঁধ কাঁটার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পাউবো। ওই মামলায় তাকে হুকুমের আসামি করা হয়। এ নিয়ে গোটা উপজেলায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

## ভোমরা সীমান্তে ১৮ বাংলাদেশী আটক

বিনা পাসপোর্টে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে ১৮ বাংলাদেশীকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এরপর তাদেরকে বর্ডার গার্ড বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। রোববার সকাল ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা ভোমরা সীমান্তের বিপরীত ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। বিকাল সাড়ে ৩টায় তাদেরকে বর্ডার গার্ড বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৬ জন মহিলা, ৩ জন শিশু ও ৯জন পুরুষ রয়েছেন। আটককৃতরা হলো, যশ্রো জেলার মনিরামপুর থানার চালুয়াহাটি গ্রামের ইমরান হোসেন (১৬), সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বদরতলা গ্রামের সুভাষ চন্দ্র (৪৫), নাড়াইল জেলার পেটুলি থানার জমিরিল গ্রামের কামরুল বিশ্বাস (১৬), নড়াইল জেলার জামিরুল গ্রামের তাসলিমা খাতুন (২০), সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার ভেটখালি গ্রামের কৃষ্ণা মোন্ডল (১৬), সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার বালিয়া গ্রামের রৃপন মোড়ল (২৫), বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বালিয় খালি গ্রামের ইউসুফ শরিফ (৫৬), সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার বালিয়া গ্রামের ফিরোজা খাতুন (৪৫), তালা থানার বালিয়া গ্রামের নুরুল হক শরিফ (৬০), পাটকেলঘাটা থানার নওয়াকাটি গ্রামের রিজাউল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (২৫), তার ছেলে সুমন (৮), আশাশুনি থানার বদরতলা গ্রামের কল্পনা মোহতা (২৫), দেবহাটা থানার কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী মাসুরা খাতুন (৩০) তার ছেলে মামুন (১২) তার ছেলে ইব্রাহিম (৮) ও একজন বাচ্চা শিশু রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইনামুল হক বিশ্বাস তাদেরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোমরা বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে সদর থানায় সোপার্দ করেছে। বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা হবে।

## সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পাষান্ড স্বামীসহ ২ জনের ফাঁসি’র আদেশ
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পাষন্ড স্বামী ও দেবরের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেনুর রহমান। আজ রোববার দুপুরে জনাকীর্ন আদালতে ওই ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এই মামলায় অপর তিন আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। ফাঁসির আসামীরা হলো- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের হাড়দ্দহ গ্রামের মাওলাবক্স সরদারের ছেলে সোহরাব হোসেন ও তার ভাই সাহেব আলী। মামলার বিবরনে ও বাদি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের ইনসার আলী গাজীর ছেলে নিহতের ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, ৭ বছর আগে হাড়দ্দহ গ্রামের মানিক সরদারের কন্যা আফরোজা খাতুনের সাথে সোহবার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল তার স্বামী। সে সময় বাপের বাড়ি থেকে ৩০ হাজার টাকা যৌতুকও এনে দেয় আফরোজা। বাকী ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারী রাতে আফরোজাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নাজিম উদ্দিন বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামীরা হলো- সোহরাব হোসেন, তার মা রোকেয়া খাতুন, পিতা মাওলাবক্য্র সরদার, ভাই সাহেব আলী ও আলাউদ্দিন সরদার।
পরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার এই মামলার রায়ের ধার্যদিনে আদালত দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে নিহতের স্বামী সোহরাব হোসেন ও দেবর সাহেব আলীকে ফাঁসি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। বাকী আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই