খাল বিল ভরে আছে পানিতে, লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংঙ্খা

সাতক্ষীরার কৃষকেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আমন ধানের চাষে

গত বছরের চেয়ে এ বছরে ধানের দাম বেশী হবে এই আশায় বুক বেধেছে সাতক্ষীরা জেলার হাজারো কৃষক। তারা এখন মহা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আমন ধান চাষে। এখন ভাদ্র মাস আমন ধান চাষের এখনই শেষ সময়।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বারের মৌসূমে জেলায় ৯৪ হাজার ২ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৫৮ হাজার ৬ হেক্টর জমি। মৌসূম শেষ হওয়ার আগেই বাকী জমিতে ধান লাগানো শেষ হবে বলে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।

জেলার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের মৌসূমে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় সাতক্ষীরা অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারনে হাজার হাজার একর জমি এখনও পানির নিচে। অনেক বিল রয়েছে যেখানে এ বছর আমন ধানের চাষ করা মোটেই সম্ভব হবে না।

জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত বেত্রাবতী,কপোতাক্ষ,ইছামতি,খোলপেটুয়া সহ প্রধান প্রধান নদীগুলোর দুপাশে অবৈধ ঘের ও দখল দারদের কারনে বর্র্ষার শেষ সময়ে এসেও ঠিক মত পানি নিষ্কাষণ হচ্ছে না। এ জন্য এবারের মৌসূমে জেলায় ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হবে না। এ মন্তব্য সাতক্ষীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেনের।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্ষা শুরু হওয়ার প্রথম দিকে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে এবারে জেলায় প্রচুর পরিমানে ধানের বীজ তলা তৈরী হয়েছে। অনেকগুলো বীজ তলা হওয়ার কারনে আমন চাষের জন্য পাতার কোন অভাব হবে না। কিন্ত খাল বিল প্রচুর পরিমানে পানিতে ভরে আছে এবং সময় মত নিষ্কাষন না হওয়ার কারনে জেলার কৃষকেরা তাদের অনেক জমি অনাবাদি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে জেলায় এবারের আমন মৌসূমে ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না সম্ভবনা রয়েছে।

এবারের বর্ষা মৌসূমে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে চাষীরা পানির অভাব থেকে কিছুটা মুক্ত। গত বছর বৃষ্টি কম হওয়ার কারনে শ্যালো,ডিপটিউবওয়েল থেকে সেচ দিয়ে আমন ধান চাষ করতে হয়েছিল কৃষকদের। কিন্তু ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত ছিল তারা গত বছর। এ বছরে আর সেটা হবে না। সরকার চাষীদের নিকট থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কিনবে এই আশা নিয়ে সাতক্ষীরার হাজারো কৃষক মাঠে কোমর বেধে আমন ধান লাগানোর কাজে মহা ব্যস্ত আছেন।



মন্তব্য চালু নেই