সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আগুনে ভষ্মিভূত প্রায় অর্ধশত দোকানঘর, ৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন
আগুনে পুড়ে মাটির সাথে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত দোকান ঘর। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজারে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অগ্নিৎপাতের ঘটনা ঘটে।
আগুনে ভষ্মিভূত হয়েছে অনন্ত ৩৪/৩৫টি দোকান ঘর, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো ১০/১২টি দোকান। এতে আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করছেন। শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের ভিতরে মনিরুল ইসলামের দোকানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের কারণে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়।
পরে মুহুর্তের মধ্যেই পাশের অন্তত ৩৪/৩৫টি মুদি, হার্ডওয়ার, জুতা, শবজিসহ অন্যান্য দোকানে আগুন ধরে যায়। বেশির ভাগ দোকানগুলো কাঠের তৈরি ও ডিজেলসহ অন্যান্য বিক্রির লক্ষ্যে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই বাজারের নাইটগার্ড ও রাতে আসামী ধরতে যাওয়া সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাত দেড়টার দিকে সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় জনতার প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে মাটির সাথে বিলীন হয়ে যায় প্রায় অর্ধশত দোকান ঘর ও দোকানে থাকা সব জিনিষপত্র। ক্ষতিগ্রস্থ দোকানি শরীফুল, ইসহাক, ফজলু, বাবু, মনিরুল, জিয়াদ, সিরাজুল, কুরবান, শহীদুল্লাহ সহ অনেককেই তাদের পুঁজি হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের লেলিহান শিখায় ভষ্মিভূত দোকান গুলোর পাশের একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশের একটি জীবিত বড় গাছের ডাল গুলোও আগুনে পুড়ে ঝড়ে পড়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইন জানান, এঘটনায় আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধণ হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্থদের স্বান্তনা দেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির পিপিএম, ৩৮বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নজির আহমেদ বকশী, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার তালুকদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইন, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সাংবাদিক জুলফিকার আলীসহ অনেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য চালু নেই