সাগর জরিপে আগ্রহ নেই বিদেশিদের

সাগরে বহুমাত্রিক জরিপের (মাল্টিক্লায়েন্ট সিসমিক সার্ভে) জন্য আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। ১৪টি কোম্পানি দরপত্র কিনলেও মাত্র পাঁচটি জমা দিয়েছে।

রোববার দরপত্র জমার শেষ দিন ছিল। সমুদ্রের সম্পদের প্রকৃত চিত্র জানতে চলতি বছরের শুরুতে এ দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেকট্রাম, যুক্তরাজ্যের স্ক্যামবার্জার, নরওয়ের ডলফিন জিওফিজিক্যাল, চীনা কোম্পানি বিজিপি, ফ্রান্সের জিওফিজিক্যাল সার্ভিস দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেকে এককভাবে আবার অনেকে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

রোববার সকাল ১১টা ৫মিনিটে দরপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হয়। কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রোসেন্টারে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়।

আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গত ১ মার্চ প্রাক দরপ্রস্তাব বৈঠক (প্রি বিড মিটিং) করে পেট্রোবাংলা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের জরিপ হতে যাচ্ছে। এই জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করবে পেট্রোবাংলা। প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বেশি সাড়া মিলবে বলে জানিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা অনুসারে, আগামী একমাসের মধ্যে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন করে নির্বাচিত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হবে। ১০ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে।

সাগরে তেল-গ্যাসের তথ্য জানতে পানির ২০ মিটার থেকে আড়াই হাজার মিটার গভীর পর্যন্ত এই জরিপ করা হবে। এরমধ্যে প্রথম দুই বছরে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। বিদেশি কোম্পানির যে খরচ হবে তা তথ্য বিক্রি করে আয় করবে। খরচ উঠে আসার পরে পেট্রোবাংলা লাভের একটি অংশ পাবে। এই প্রক্রিয়ায় শুধু মাত্র দ্বিমাত্রিক জরিপ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই