সাকিবের প্রতি স্ত্রী শিশিরের অনুরোধ

নেও ষোল কলা এবার পূর্ণ হয়েছে। মরার উপর খাড়ার ঘাঁ, বেশ বিপাকে পড়েছেন বিশ্ব সেরা অল-রাউন্ডার। এমনিতেই ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে হারের পর নাইটদের ভাগ্য নিয়তির হাতে এসে দাঁড়িয়েছে। পারবে কেকেআর? এক দিকে স্বপ্ন শেষের খাদে। অন্য দিকে, ইডেন ফাইনালের এভারেস্টে ওঠার সিঁড়ি। কেকেআর অধিনায়ক বলে গেলেন, আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

এদিকে সাকিব-আল-হাসান, তাকেও তো পারতেই হবে। কারণ তার স্ত্রী শিশির ‘ফতোয়া’ জারি করেছেন যে, ফাইনালে না উঠলে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতেই আসবেন না তিনি। দু’দিন আগে হলে মনে হতো, স্রেফ দাম্পত্যের খুনসুটি। কিন্তু টিমের যা অবস্থান, তাতে মন্তব্যটার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে দুই বাংলার আবেগের গঙ্গা-পদ্মাও!

গৌতম গাম্ভীর আতঙ্কের অতল খাদের ধারে দাঁড়িয়েও বলে দেওয়ার সাহস দেখালেন যে, ‘‘আমার টিম কারও দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা কারও উপর নির্ভর করে নেই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নিয়তি আমাদের হাতে।’’ হুঙ্কার দিলেন যে, মরণবাঁচনের ফাঁদে তারা একা পড়ে নেই। আরও অনেকে আছে।

গাম্ভীর বলছেন বটে, কিন্তু তার টিম ভালই জানে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের হারটা তাদের পায়ের তলা থেকে স্বস্তির ভূখণ্ড অনেকটাই সরিয়ে নিয়েছে। না হলে মুম্বাই ম্যাচের হাফসেঞ্চুরির ব্যর্থতা প্রসঙ্গে মুষড়ে পড়েন না ইউসুফ। আফসোস করেন না, শেষ ওভারটা হাতে পেলে কী করতে পারতেন ভেবে।

রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দিলে এগুলোর কোনও কিছুই আর থাকবে না। শান্তির রেশম-জাল আবার ফিরে আসবে। প্রথম দুইয়েও শেষ করার সম্ভাবনা চলে আসতে পারে তখন সামনে। কে না জানে, প্রথম দুইয়ে শেষ করলে বাড়তি একটা ম্যাচের কুশন পাওয়া যায়। যেটা গত বারও পেয়েছে কেকেআর। ব্রেবোর্ন জয় করতে পারলে হয়তো পাবে এ বারও।



মন্তব্য চালু নেই