সাকার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি মিলল ৮ জনের

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি পেয়েছেন তার পরিবারের ৮ সদস্য। দেখা করতে তারা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেছেন।

পরিবারের সদস্যরা হলেন- সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে ফায়েজ কাদের চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী, পুত্রবধূ তানিয়া ‍খন্দকার, সাকার বোন জোবাইদা মনোয়ারা ও হাসিনা কাদের চৌধুরী, সাকার মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী ও তার স্বামী জাফর খান এবং সাকার চাচাত ভাই ইকবাল হোসেন।

তবে ভেতরে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। সাকাসহ দুই যুদ্ধাপরাধীর রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় বুধবার থেকেই কারাগারের আশপাশে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।

সাকা চৌধুরীর সাথে দেখা করতে তার পরিবারের ১৫ জনকে কারাফটকের সামনে দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত অনুমতি মেলে ৮ জনের। বাকিদের কারাগারে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

বেলা ১২টার দিকে সাকার ধানমণ্ডির বাসা থেকে রওনা হন তারা। বেলা ১২টা ২২ মিনিটের দিকে সাকার স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ, নিকট আত্মীয়সহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান। দুইটি গাড়িতে করে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আসেন।

এর আগে সকালে সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, দেখা করার জন্য তারা কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছিলেন। তারা অনুমতি পেয়েছেন।

গতকাল বুধবার মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধী সাকা চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর সঙ্গে মুজাহিদের মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই একসঙ্গে যায় ট্রাইব্যুনালে। এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।

তবে আসামিপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করায় ফাঁসির রায় কার্যকর প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে যায়; মৃত্যুপরোয়ানা জারির মধ্যে দিয়ে যা শুরু হয়েছিল।

নিয়ম অনুসারে সে থেকে নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করেন মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী। রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে দু’জনেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।



মন্তব্য চালু নেই