সাঈদীর আপিলের রায় যেকোনো দিন
যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আপিলের রায়। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের করা দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। মামলার আপিল শুনানির ৫০তম দিনে এ আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে আসামিপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের ২০টি অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল ৮টি অভিযোগে সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এরমধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিশাবালী নামের ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে শাস্তি দেন ট্রাইব্যুনাল। বাকী ১২টি অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দেয়া হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ইব্রাহিত কুট্টি হত্যা মামলায় ইব্রাহিমের স্ত্রী মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে পিরোজপুরে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি মোট ১৩ জনকে আসামি করেন। আসামির সেই তালিকায় সাঈদীর নাম নেই- এমন দাবি করে মমতাজ বেগমের দায়ের করা সেই মামলার এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) নথির একটি সত্যায়িত কপি ২০১১ সালে ট্রাইব্যুনালে জমা দেন আসামিপক্ষ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এসব নথির সত্যতা যাচাইয়ে পিরোজপুর এবং বরিশাল সফর করেছেন। সফর শেষে গত ৯ এপ্রিল আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘পিরোজপুর এবং বরিশালের জেলা জজ আদালতে কোথাও এ মামলার কাগজ পাওয়া যায়নি। আসামিপক্ষ মমতাজ বেগমের মামলার নথি মর্মে যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তা জাল, মিথ্যা এবং মামলার প্রয়োজনে সৃজনকৃত।’ তাই এ কাগজ বিবেচনায় না নেয়ার লিখিত আবেদন জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই