‘সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে মহাবিপদ’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে মহাবিপদ। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধুর আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আর্ন্তজাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষ্যে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে এ মুহুর্তে চলাফেরা অনেক বিপদজনক হয়ে গেছে। মানুষ হত্যা ও পুড়িয়ে মারার মতো সহিংস কার্য্কলাপ চলতে দেওয়া যায় না। মানুষের স্বাভাবিক চলার পথ রুদ্ধ করা উচিত নয়।এটা গর্হিত কাজ।এটাকে আন্দোলন বলা যাবে না।

তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া যায় না। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে মহাবিপদ হবে। এই মাহবিপদ চলতে দেওয়া যায় না। আশা করছি অন্যান্যদের মধ্যে এই শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। বিরোধীরা আমার এ বাণী গ্রহণ করবেন। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বর্ডার কন্ট্রোলের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্ডার কন্টোল একটি সমন্বিত ব্যবস্থা। বিশেষ করে লক্ষ্য রাখা দরকার জঙ্গিবাদীরা যেন সেখানে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে না পারে।

কাষ্টমস খাতে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছে। এখন অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। যেমন মূসক ও আয়কর খাত।

সেমিনারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বিপুল উৎসাহ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৭ম আর্ন্তজাতিক কাস্টমস দিবস উদ্বোধন করা হয়। দিবস উপলক্ষে সকালে কাস্টমস হাউজ ও কাস্টমস কাজে ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার হয়রানি ও দুর্নীতি না করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শপথ পাঠ করান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ের সামনে পায়রা অবমুক্ত ও বেলুন উড়িয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের উদ্বোধন করা হয়। এরপরই আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সুসজ্জিত বাদক দল, সুসজ্জিত গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যা লি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭৯টি দেশে একযোগে দিবস পালন করে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশও সংস্থাটির সদস্য হিসেবে দিবসটি উদযাপন করছে।

এবারে কাস্টমস দিবসের প্রদিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা: অংশীদারী সম্পর্কের একটি আন্তরিক আহ্বান।



মন্তব্য চালু নেই