সহজলভ্য কচু শাকের অসাধারণ পুষ্টি

চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখাসহ দেহের প্রয়োজনীয় লৌহের যোগান দিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কচু শাক। কচু শাকে চিংড়ি আর ইলিশ মাছের যেন অসাধারণ বন্ধত্ব, এর স্বাদে গন্ধে পাগল করে অনেকের মন। কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। মানবদেহের নানা রোগ সারাতে সহজলভ্য কচু শাকের তুলনা হয় না। আজ জেনে নেব কচু শাকের অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।

প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে পাবেন প্রোটিন ৩৯ গ্রাম, শর্করা ৬.৮ গ্রাম, স্নেহ বা চর্বি ১৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২২৭ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি(থায়ামিন)২২.০ মিলি, ভিটামিন বি (রাইবোফেবিন) ২২ মিলি, ভিটামিন ‘সি’ ১২ মিলিগ্রাম ও ক্যালোরি ৫৬ কিলো খাদ্যশক্তি।

– কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এর লৌহ আপনার দেহে সহজে আত্তীকরণ হয়।

– এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।

কচু শাক২– এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যা দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠনে ভূমিকা রাখে। কচু শাকের ভিটামিন কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে।

– এই শাকের আয়রন ও ফোলেট রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

– কচুশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যআঁশ, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে। পরিপাকক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

– কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। দাঁত ও হাড়ের গঠনে এবং ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



মন্তব্য চালু নেই