লালমনিরহাটের কিছু খবর :

রংপুর বিভাগে দীর্ঘ লম্ফে সেরা হল হাতীবান্ধার সুস্মিতা রায়

জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা ২০১৫ তে রংপুর বিভাগে দীর্ঘ লম্ফে সেরা হয়েছে হাতীবান্ধা ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সুস্মিতা রায়।

শনিবার সকালে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সে সর্বোচ্চ ০৩. ৬২ মিটার ( প্রায় ১১ ফিট ১০ ইঞ্চি) লাফ দিয়ে আঞ্চলিক ভাবে সেরা কৃতিত্ব অর্জন করে। ক্ষুদে এই শিক্ষার্থী হাতীবান্ধার পূর্ব সিন্দুর্ণা গ্রামের জগেন্দ্র নাথ মেয়ে বলে জানা গেছে।

এ দিকে সুস্মিতা উপজেলা জেলা পর্যায়ের পর এবার বিভাগীয় খেলায় সেরা হওয়ায় হাতীবান্ধা ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আনন্দে মেতে উঠেছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে খবরটি শুনে সবাই তাদের উল্লাস প্রকাশ করে।

ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষকা শাপলা আক্তার বলেন, সুস্মিতা আঞ্চলিক ভাবে সেরা হওয়ায় আমরা ধণ্য। আগামীতে সে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশ সেরা হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

 

লালমনিরহট-বুড়িমারী রেল রুটে ট্রেন চলাচলে বাড়তি সতর্কতা

টানা অবরোধের ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। এ লক্ষ্যে লালমনিরহাট-বুড়িমারী-গাইবান্ধা-বোনারপাড়া-সান্তাহার রেলওয়ে রুটে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিশেষ করে পাটগ্রামের বুড়িমারী থেকে হাতীবান্ধার বড়খাতা, হাতিবান্ধার পারুলিয়া থেকে কালীগঞ্চের কাকিনা, কাউনিয়া থেকে গাইবান্ধা এবং গাইবান্ধা থেকে বোনারপাড়া রেল লাইনের অন্তত শতাধিক টি পয়েন্টে রেল লাইন পাহাড়া দেয়ার জন্য নিয়োগকৃত দেড় হাজারও বেশি আনসার দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি ৩ কি.মি. পর পর ৮ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রেন যাতায়াতের সময় দু স্টেশনের মাঝপথে বিভিন্ন স্থানে বাঁশি বাজিয়ে সতর্কতার সংকেত দিচ্ছেন তারা।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও সি) রফিকুল ইসলাম জানান, আনসারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে রেল পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা।

প্রসঙ্গত উলেখ্য যে, বুড়িমারী-লালমনিরহাট রেল ষ্টেশনের মাঝামাঝি পথ বাউরা, ভোটমারী ও কাকিনা এলাকায় বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা রেলওয়ে ফিসপেট খুলে রাখে। ফলে ওই সব এলাকায় যাত্রীবাহি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ লাইনচ্যুত বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এতে অনেক যাত্রী আহত হয়েছিল।

এ দিকে সড়ক পথে কোন যানবাহন চলাচল না থাকায় জেলার বিভিন্ন স্টেশনে এসে যাত্রীরা ট্রেনের জন্য ভীড় করছেন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।

যাত্রীরা জানান, কোন ট্রেন ১২ ঘন্টা বিলম্বে, আবার কোনটি তারও বেশি সময় দেরীতে চলাচল করছে। আবার কোন কোন ট্রেন কোন সময়ে এসে যাত্রা বিরতি করবে তাও জানা যাচ্ছে না। অবরোধের কারণে ট্রেনের সিডিউল একেবারে লন্ডভন্ড হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। ট্রেনে যাত্রী ওঠা নামা ও অত্যাধিক ভীড়ের কারণে অধিক সময় ব্যয় ও নিরাপত্তার কারণে ধীর গতিতে চলাচল করায় ট্রেনের এমন সিডিউল বিপর্যয় বলে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার জানান।

 



মন্তব্য চালু নেই