‘সরকার জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে আঁতাত করছে’

সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে আবার জামায়াত-হেফাজতের সাথে আঁতাত করছে। না হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের চিঠি পৌঁছাতে ৭ দিন লাগবে কেন? এগুলোর পিছনে দূষিত রাজনীতি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত ‘ত্বকী হত্যার বিচারে রাষ্ট্রের অনিহা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে ত্বকী মঞ্চের মতো বিভিন্ন ধরণের মঞ্চ রয়েছে। এগুলোকে একত্রিত করে কেন্দ্রীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর সরকার যদি জনবিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে আমরা আন্দোলন করবো না কেন?

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যামের মতোই হচ্ছে এদেশের বুদ্ধিজীবিদের অবস্থা। যে যেভাবে ইচ্ছে চলছে, কোন বাঁধা নেই। এরাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাচ্ছে, আবার তারাই জামায়াত-হেফাজতের সাথে আঁতাত করছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, প্রতিটি জেলাতেই নারায়ানগঞ্জের মতো মাফিয়া চক্র রয়েছে। যার সাথে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত। এগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যৎ বন্দর রক্ষা জাতয়ি কমিটির সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করা কি শামীম ওসমানকে রক্ষা করা? যৌন সন্ত্রাসীদের রক্ষা করা? সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কলংকিত করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে ত্বকী হত্যার বিচার করতে হবে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাসদের সাধরণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই