সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় রিকন্ডিশন্ড বাধাগ্রস্ত হাইব্রিড কার আমদানি

হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হলেও ৮০ শতাংশেরও বেশি গাড়ি ব্যবহারকারীর রিকন্ডিশন্ড গাড়িকে এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। এ সংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০০৯ সালের এসআরও জনস্বার্থপরিপন্থী এবং বিশেষ কাউকে সুবিধা দেয়ার জন্যই জারি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ির সাধারণ ক্রেতাদের বঞ্চিত করে কেন উচ্চ সিসির ধনাঢ্য গাড়ি ব্যবহারকারীদের এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, টয়োটা ১৫০০ সিসির একটি সাধারণ কার ১ লিটার পেট্রল বা অকটেনে সর্বাধিক ১০ কিলোমিটার চলতে পারে। আর উন্নত প্রযুক্তির একই সিসির হাইব্রিড কার চলতে পারে কমপক্ষে ৩৩ কিলোমিটার। কিন্তু তারপরও পরিবেশসহায়ক ও জ্বালানি তেলের সাশ্রয়কারী এই গাড়ি আমদানি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

এসআরও অনুযায়ী পেট্রল বা ডিজেলচালিত আড়াই হাজার সিসির হাইব্রিড প্রযুক্তির নতুন গাড়ির শুল্ক হার মাত্র ৬১ শতাংশ। অথচ একটি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কের পরিমাণ ৪৫১ শতাংশ। এসআরওতে বলা আছে, রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। জাপানি ব্র্যান্ডের উন্নত মানের রিকন্ডিশন্ড গাড়িকে এই সুবিধা না দেয়ায় সাধারণ প্রযুক্তির হাজার হাজার গাড়ি আসছে। এতে জ্বালানি তেলের ওপর চাপ বাড়ছে, সরকারকেও বৈদেশিক মুদ্রায় তেল আমদানি করে শত শত কোটি টাকার ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে উৎসাহিত করতে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড আমদানি বন্ধ আছে। তবে আগামী বাজেটে হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক ছাড়ের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আশংকার কথা হচ্ছে, এখনই যদি হাইব্রিড প্রযুক্তির রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির বাধা দূর করতে পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে আগামী অর্থবছর থেকেই রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণনে বড় ধরনের সংকট দেখা দেবে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, বর্তমানে কোনো এইচএস কোডেই রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড কার আমদানির সুযোগ নেই। এইচএসকোডে নতুন গাড়ির ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু রিকন্ডিশনের নেই। বর্তমানে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড প্রযুক্তির মোটর কার আমদানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই