দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৪

সরকারের একচেটিয়া ব্যবসায়ী তোষননীতির কারনে সাধারন ভোক্তাদের ভুলন্টিত হচ্ছে স্বার্থ ॥ বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়

কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সংগৃহীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ১৫টি বাজার ও বিভিন্ন সেবা-সার্ভিসের এর মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রি এবং ১৪টি সেবা সার্ভিসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৪ সালে পণ্য মূল্য ও সেবা সার্ভিসের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। ক্যাব-এর হিসাবে ২০১৩ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল ১১ শতাংশ অর্থাৎ ২০১৪ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ২০১৩ সালের চেয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে। তুলনামূলকভাবে ২০১৪ সালে দেশে দ্রব্যমূল্য অনেকটা স্থিতিশীল ছিল।

ভোক্তার ঝুলিতে (Consumer Basket) যেসব পণ্য ও সেবা রয়েছে সেসব পণ্য বা সেবা পরিবারের মোট ব্যয়ের সাথে তুলনা করে পণ্য বা সেবার ওজন (Weight)-এর ভিত্তিতে জীবনযাত্রা ব্যয়ের এই হিসাব করা হয়েছে। এই হিসাব শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয় বর্হিভূত।

ক্যাব সংগ্রহীত ২০১৪ সালের পণ্যমূল্যের তথ্যে দেখা গেছে. ২০১৩ সালের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, শাকসবজিতে বেড়েছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, মোরগ-মুরগিতে বেড়েছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, গুঁড়ো দুধে বেড়েছে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, তরল দুধে বেড়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, মাছে বেড়েছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, সাবানে বেড়েছে ৩ শতাংশ, পান-সুপারিতে বেড়েছে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ, ডালডায় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সারা বছরের পণ্যমূল্যে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আদা ও ধনিয়ার মূল্য সবচেয়ে বেশী বেড়েছে। আমদানীকৃত আদার দাম বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও দেশী আদায় বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

২০১৪ সালে বিদুতের গড় দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ওয়াসার পানি প্রতি হাজার লিটারে বেড়েছে ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। গ্যাসের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

দেশী থান কাপড়ে দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, শাড়িতে বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং গেঞ্জি তোয়ালে ও গামছায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ ।

এ সময়ে দাম কমেছে ভোজ্য তেলে ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ, লবণে কমেছে ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ডালে কমেছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, সুগন্ধি চালে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, মশলায় কমেছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ডিমে কমেছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, ফলে কমেছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ এবং চা-এ কমেছে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং আটায় কমেছে ২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

বিশ্ব বাজারে কোন কোন পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য কমলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে তার প্রভাব তেমন পড়েনি। সরকারের নিয়ন্ত্রকারী কর্তৃপক্ষের নিরতা, ট্যারিফ কমিশন, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবসায়ী তোষন নীতির কারনে সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ীচক্র নিজেরা সব কিছু তাদের পকেটে তুলে নিয়েছে। ফলে দেশে এর সুফল পেতে ভোক্তারা বঞ্চিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে গুঁড়ো দুধ, সয়াবিন ও জ্বালানী তৈলের দাম কমলেও দেশে ভোক্তাদের বেশী দাম দিয়েই তা কিনতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দরপতন হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে তা কমেনি।

গণপরিবহনে নৈরাজ্য থামে নি, সিএনজি অটোরিক্রা চালকেরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রি বহন করতে চায় না। একই দুরত্বের জন্য ইচ্ছেমতো একেক যাত্রির কাছ থেকে একেক ভাড়া দাবি করে থাকেন। এই সেক্টরে বরাবরের মতো বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করেছে। এখাতের ব্যবসায়ীরা এখানে তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে।

অতীতের মতই স্বাস্থ্যখাতে সেবার মান ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও ব্যয়বহুল। ডাক্তারের ফিস ছিল নিয়ন্ত্রণহীন। ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট প্রদানের এবং মানহীন টেস্ট, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের অভিযোগ বরাবরের মতই উঠেছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে সবকারের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়েছে। জীবনরক্ষাকারী ওষধে ভেজালের পাশাপাশি ভুয়া এমবিবিএস, প্যাথলজি ল্যাব ছাড়াও নকল ওষধ কারখানা, লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসীর ছড়াছড়ি হলেও এখানে কোন নজরদারি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কোন যৌক্তিক কারন ছাড়াই অতিপ্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ওষধের মুল্য ২০-৫০% বৃদ্ধি করে দিয়েছে ওষধ কোম্পানীগুলি। এটি যেন মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে সাধারন মানুষের উপর। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়েটিক, ডায়াবেটিক, গ্যাস্টিক, হাপানী ও কাশির ওষধ এর এধরনের লাগামহীন মুল্যবৃদ্ধির কারনে দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের দীর্ঘমেয়াদী রোগাক্রান্তরা সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে। এখানে ওষধ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এর নজরদারি না বাড়ালে এখান থেকে পরিত্রানের উপায় নেই।

প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবে ঝরে পড়ার হার এবং শিক্ষার মান এখনও দুশ্চিন্তার কারণ। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বেতন ও নানা ধরনের ফি অতিরিক্তমাত্রায় গ্রহণ অতীতের মতই অভিভাবকদের জন্য বাড়তি বোঝার কারণ ছিল। অন্যদিকে শহরের নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়েও আছে ব্যাপক অনিয়ম।

সুপারিশসমূহ:
১. বাজারে অসাধু সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী বা সিন্ডিকেট রোধে প্রতিযোগিতামূলক আইন (Competition Law) এর যথাযথ প্রয়োগ করা;

২. সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত পণ্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলনে National Price Commission গঠন ও বাস্তবায়ন করা;

৩. নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের ট্রেড এসোসিয়েশন গুলোর মনোপলি ব্যবসা মোকাবেলায় সরকারী প্রতিষ্ঠান টিসিবিকে কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত রেখে সংকটকালীন মুহুর্তে পণ্য আমদানিতে সক্ষম রাখা। এছাড়াও দেশের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও সংরক্ষনের দায়িত্ব দিয়ে মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম রোধে ব্যবস্থা করা।

৪. পণ্যের মোড়কজাতকরণ এবং রিফাইন করার নামে প্যাকেজজাত পণ্য মূল্যে আকাশচুম্বি করার প্রবণতা জাতীয় স্বার্থে খতিয়ে দেখা ও রোধ করা এবং ন্যায্য মূল্যে নির্ধারণ করা;

৫. ২০০৭ সালে জারিকৃত পণ্যের মোড়কজাতকরণ বিধিমালা সস্পর্কে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সচেতন করা ও এ বিধিমালা দেশব্যাপী কার্যকর করা;

৬. পণ্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বাণিজ্যে অনৈতিকতা রোধ এবং সকল সেবা-সার্ভিসে অব্যবস্থা নিরসনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ ভোক্তাবান্ধব করার জন্য অনতিবিলম্বে পরিবর্তন-পরিমার্জনার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে;

৭. পণ্য বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দ্বৈত ভূমিকা রোধ করা। যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার ধোঁয়া তুলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ায়, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে পণ্যমূল্য দেশীয় বাজারে কমাতে যে গড়িমশি করে তা অবশ্যই রোধ করতে হবে;

৮. জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস, কয়লা ও তেল জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা এবং তেল ও গ্যাস উত্তোলনকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আগ্রাসন থেকে তা রক্ষায় সতর্ক থাকা।

৯. শহর-নগরে বসবাসকারি নাগরিকদের জীবনমান রক্ষায় বিদ্যমান বাড়ি নিয়ন্ত্রণ ভাড়া আইন ১৯৯১ অনতিবিলম্বে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে জনস্বার্থে তা কার্যকর করা। একই সঙ্গে সহজ শর্তে, কমসুদে দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে নগরে বসবাসরত নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট তৈরি করা ও বরাদ্দের ব্যবস্থা করা;

১০. বর্তমান গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, রেলের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারন করা। গণপরিবহণ সহজলভ্য করতে আইনের প্রয়োগ ও যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে করা; নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমুেহর নিয়ন্ত্রনকারী কর্তৃপক্ষে ভোক্তা প্রতিনিধি নির্বাচনে ক্যাব এর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

১১. আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় রেখে দেশীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনা।

১২. সরকারকে ’মার্কেট ইনটেলিজেন্স’ চালু করতে হবে। বাজার তদারকিকে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অত্যাবশ্যকীয় কাজের আওতায় আনার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি।

১৩. ওজন, পরিমাণ, পরিমাপ বিষয়ক বিদ্যমান সমস্যা, যেমন বাটখারা, লিটার মাপার চোঙ্গা, ফিতা, সোনার ক্ষেত্রে ক্যারেটের অনিয়ম দূরীকরণের বর্তমান দায়িত্বরত বিএসটিআই থেকে মেট্রোলজি বিভাগকে আলাদা করে মেট্রোলজি পরিদপ্তর গঠন করা;

১৪. সরকারী ভাবে এককভাবে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির পৃষ্ঠোপোষকতার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলিকেও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা।

১৫. কৃষি খাতে ভুর্তকি বাড়ানো, কৃষি পন্যের ভুর্তকি সরাসরি কৃষকের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। সহজ শর্তে প্রকৃত কৃষকদের কৃষি ঋণ বিতরনের ব্যবস্থা করা। কৃষকের বিক্রয় মূল্য ও খোলা বাজারে খুচরা বিক্রয়মূল্যের একটি সীমা নির্ধারণ, খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধিকারীদের শনাক্ত করে কঠোলভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

১৬. বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, ছোট আকারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও সর্বত্র সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবহারকে উৎসাহিত করা।

১৭. খাদ্যে ভেজাল, ফরমালিন মিশ্রণকারী শাস্তি সর্বোচ্চ মৃতুদন্ড ঘোষনা করে বিশুদ্ধ খাদ্য আইনকে অবিলম্বে কার্যকর করা।

১৮. কৃষি পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কৃষকদের সমবায় ব্যবস্থাপনায় সংগঠিত করে তাদের উৎপাদিত পণ্য যাতে সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকরাই বাজারজাত করতে পারে তার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া

১৯. কৃষি,শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার আন্ত:মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য নির্ধারণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।

২০. জাতীয় বেতন ও চাকরী কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি করা হলে দ্রব্যমূল্য, গণপরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও বাসাভাড়া আরও বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে জন্য সময়োচিত পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।

ক্যাব লক্ষ্য করে আসছে যে, দেশে ধনী-দরিদ্রের আয়ের বৈষম্য প্রচন্ড হারেই বেড়েই চলেছে। একই সাথে ব্যবসা বানিজ্যে অশুভ প্রতিযোগিতা চরম ভাবে বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে বৈষম্য আরো প্রকট। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি সরকারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলিকে শুধু নিয়ন্ত্রণ করছে না তারা পুরো রাজনৈতিক কাঠামোকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। আর সাধারন জনগন ব্যবসায়ীদের এ সমস্ত যাতাকলে পিষ্ঠ মরলেও সরকার কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সরকারী উদ্যোগে ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন প্রণোদানা, কর রেয়াত, ভুর্তকিসহ নানা সুবিধা প্রদান করা হলেও সরকার ভোক্তা সাধারন জনগন বিশেষ করে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষনে তেমন বেশী আগ্রহী নয়। যার কারনে ভোক্তা স্বার্থ অনকটাই রাজনৈতিক দলের মতো তারা জনগনের জন্য রাজনীতি করছে ও ক্ষমতায় যেতে চায় সে রকম হয়ে আছে। তাই ভোক্তা সংগঠনগুলির জন্য পৃষ্ঠাপোষকতার পাশাপাশি রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে সরকারকে আরো বেশী মনোযোগী না হলে ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া দৈৗরাত্ত্য বন্ধ হবে না। অন্যদিকে আয়ের সাথে ব্যয়ের মারাত্মক অসঙ্গতিও প্রতিনিয়ত বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। এ ধারা রোধে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতর অবসান ও ব্যাপক হারে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যদিকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর আয়ও বাড়াতে হবে। একই সাথে সাধারণ মানুষের আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ কাজে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য এবং শিক্ষা-চিকিৎসা, বিনোদন, যাতায়াত ব্যয় ও নগরবাসীর বাড়িভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সর্বদাই রাষ্ট্রীয় কর্মকৌশল উন্নয়নে তৎপর থাকতে হবে। এসব দাবির পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতি বিকাশে উত্থাপিত সুপারিশ ও প্রত্যাশা পুরণে সরকারের কাছে ক্যাব জোর দাবি জানাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই