সরকারি চাকরির সুবিধা পাবে না যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের সন্তানদের সরকারি চাকরির সুবিধা দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বিচার বা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাই শুধু নয়, তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

শনিবার জাতীয় সংসদের মেম্বারস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের (মুসক) উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো ক্রমেই কোনো যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিষিদ্ধ করলেই বাঙালি জাতির মঙ্গল হবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতি জয়লাভ করেছে। দেশের শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগীদের সম্মান জানিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের শেকড় সমূলে উৎপাটনে করতে হবে।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের শেকড় উপড়ে ফেলতে রাজনৈতিক শিক্ষা জরুরি। বর্তমানে অনেকেই কি আদর্শে দেশের জন্য লড়াই করছে সে সম্পর্কে অবগত নয়। ১৯৭১ সালে বাঙালির শত্রুদের সহজেই চিহ্নিত করা যেত। কিন্তু এখন ঘরের শত্রুদের চিহ্নিত করা কষ্টকর, দুষ্কর। আজকের এই লড়াই তাই আমাদের জন্য অনেক কঠিন।

সংগঠনের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) শওকত আলী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব কাজী রুফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী, সংগঠনের মোহাম্মদপুর থানার প্রেসিডেন্ট আবু সায়িদ, মহাসচিব আব্দুস সামাদ পিন্টু, ঢাবির অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই