‘সম্প্রচার আইনের খসড়া চূড়ান্ত, উত্থাপন আগামী অধিবেশনেই’

সম্প্রচার আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করে আইনটি পাশের জন্য জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আগামী অধিবেশনেই সম্প্রচার আইনটি পাশ হবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বিগত দুই বছর ধরে সম্প্রচার আইন নিয়ে কাজ করছে তথ্য মন্ত্রণালয়। সংসদের আগামী অধিবেশনে সম্প্রচার আইন উত্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে সম্প্রচার কমিশন গঠিত হবে। এই কমিশন ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকে ছাড়পত্র দেবে, তা বাতিলও করতে পারবে। এটা আধা বিচারিক শক্তিশালী সংস্থা হবে। এই কমিশন হওয়ার পর তথ্য মন্ত্রণালয় আর সরাসরি এসব ব্যাপারে আর কাজ করবে না। কাজ করবে এই কমিশন।

সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের জন্য প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে একজন বিচারপতির নাম চাওয়া হয়েছে আইনমন্ত্রীর কাছে। এটা হলেই বোর্ড গঠন হবে। এবার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকে ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার এখনও করতে না পারায় ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। তবে সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন।

বিএনপি যে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন সে বিষয়ে তিনি বলেন, এটা বিএনপির একটি চক্রান্ত। তিনি বলেন, সহায়ক সরকারের প্রস্তাব কার্যত নির্বাচন ভন্ডুল করা এবং অস্বাভাবিক সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরির চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। এছাড়া এই ধরনের সরকারের বিষয়ে কোনও আইন নেই, কোনও অগ্রগতিও নেই। তাহলে এইসব কথা বলে বিএনপি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে মনে করছেন তিনি।

বাংলাদেশের ভারতীয় চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যেসব চ্যানেলগুলোর বিষয়ে কথা হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে গবেষণা চলছে। ভারতে ও বাংলাদেশের পরিবারের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে তা যাচাই বাছাই চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী।



মন্তব্য চালু নেই