সালমান খান অভিনীত ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির তোপে ভাসছে গোটা বলিউড। মুক্তির পরথেকে এ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সালমান খান। তবে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এক প্রতিবন্ধী বালিকার ভূমিকায় অভিনয় করে ৭ বছরের হারশালি মালহোত্রা।

পুরো ছবিতে তার একটা সংলাপও নেই, অথচ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির আসল তারকা হয়ে উঠলো হারশালি মালহোত্রা! সিনেমার চরিত্রে প্রতিবন্ধী হলেও বাস্তবে হারশালি খুব বাচাল প্রকৃতির! তার মা কাজল মালহোত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাস্তবে হারশালি মালহোত্রা প্রচুর কথা বলে। একদণ্ডও কথা না বলে থাকতে পারে না ও।

তিনি আরো জানান, হর্ষালির ওই বক বক করার স্বভাব নিয়ে ওয়ার্কশপ চলাকালে কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ। তিনি বলতেন, ভেবেই পাচ্ছি না ওকে চুপ করানো যায় কীভাবে। তিনি বলেন, হারশালি মালহোত্রা শ্যুটিংয়ের কাজকর্ম একেবারেই বদলে ফেলতে পারেনি। ও আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই রয়েছে।

শিশুশিল্পীকে নিয়ে শ্যুটিংয়ের কাজ সবসময়ই কঠিন। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুব ভালো করে সামলেছেন সালমান খান ও পরিচালক কবির খান। কাজল মালহোত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, শ্যুটিংয়ের সময় জোরে শব্দ হলে ভয় পেয়ে যেত হারশালি । কিন্তু শ্যুটিংয়ের সময় যাতে ও নিজের মতো থাকতে পারত, অন্যদের সঙ্গে খেলা করতে পারত তার চেষ্টা করেন সালমান ও কবীর। অভিনয়ের প্রশংসায় ভাসছে হারশালি।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন সম্ভবত ফারহা খান। তিনি বলেছেন, হারশালি মালহোত্রা ‘শত বছরের সেরা আবিষ্কার’। এরকম জনপ্রিয়তার মধ্যেও মেয়ের যাতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে তা মাথায় রাখছেন হর্ষালির মা। পড়াশোনা ও অভিনয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার পথেই হাঁটছেন তারা। কাজল মালহোত্র বলেছেন, টেলিভিশনে অভিনয় খুব একটা পছন্দ করছেন না তারা।

সালমান খান, কারিনা কাপুর খান, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর মতো তারকাদের ছাপিয়ে গেছে হারশালি মালহোত্রা! কারিনা তো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেনই, ‘সালমানের সঙ্গে কাজ করলে সাধারণত আমিই সবার চেয়ে আদুরে থাকি। কিন্তু এবার ছিলো হারশালি! ও-ই ছবিটির সত্যিকারের তারকা। সেটে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলো সে। ওর সঙ্গে কাজ করার আগে খেয়াল রাখতাম, হারশালি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে কি-না। পুরো ইউনিট তার দেখভাল করতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘হারশালি বলিউডের অভিনেত্রী হতে বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী।’